Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভূমিকম্পে হাওড়ার সাতটি স্কুলে ফাটল

অভিজ্ঞতাটা সকলের একই রকম। সকলেই প্রথমে ভেবেছিলেন, তাঁদের মাথা ঘুরছে। পরে বুঝতে পারেন মাটি কাঁপছে। নেপালে সৃষ্ট ভূমিকম্প শনিবার এ রাজ্যেও কম্পন ধরিয়েছে। তার জেরে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার অন্তত সাতটি স্কুলে এবং হুগলির চণ্ডীতলা থানার দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে। শনিবার ভূমিকম্পের সময়ে স্কুলের একতলার একটি ঘরে বসে কাজ করছিলেন জগৎবল্লভপুর আর এন বসু হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তিরঞ্জন ঘোষ। হঠাৎই তাঁর মনে হয়, মাথা ঘুরছে। সহকর্মীকে সে কথা বলেন। সহকর্মী জানান, তাঁরও মাথা ঘুরছে। তবে, সামনের জানলার দিকে তাকাতেই তাঁদের নজরে আসে পাল্লাগুলি জোরে দুলছে। শান্তিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরে বেরিয়ে এসে চেঁচাতে থাকি।

গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরে ফাটল দেখে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরে ফাটল দেখে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া ও চণ্ডীতলা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩৬
Share: Save:

অভিজ্ঞতাটা সকলের একই রকম। সকলেই প্রথমে ভেবেছিলেন, তাঁদের মাথা ঘুরছে। পরে বুঝতে পারেন মাটি কাঁপছে।

নেপালে সৃষ্ট ভূমিকম্প শনিবার এ রাজ্যেও কম্পন ধরিয়েছে। তার জেরে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার অন্তত সাতটি স্কুলে এবং হুগলির চণ্ডীতলা থানার দেওয়ালে ফাটলও ধরেছে।
শনিবার ভূমিকম্পের সময়ে স্কুলের একতলার একটি ঘরে বসে কাজ করছিলেন জগৎবল্লভপুর আর এন বসু হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তিরঞ্জন ঘোষ। হঠাৎই তাঁর মনে হয়, মাথা ঘুরছে। সহকর্মীকে সে কথা বলেন। সহকর্মী জানান, তাঁরও মাথা ঘুরছে। তবে, সামনের জানলার দিকে তাকাতেই তাঁদের নজরে আসে পাল্লাগুলি জোরে দুলছে। শান্তিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘ভূমিকম্প হচ্ছে বুঝতে পেরে বেরিয়ে এসে চেঁচাতে থাকি। দ্রুত স্কুল থেকে ছুটে বেরিয়ে আসেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা।’’ স্কুলটি বেশ পুরনো। পরে বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে প্রধান শিক্ষক দেখেন, স্কুলের দোতলায় ষষ্ঠ শ্রেণির দু’টি, অষ্টম শ্রেণির দু’টি-সহ অন্তত সাতটি ক্লাসে ফাটল ধরেছে ভূমিকম্পে। চিড় ধরে ছাদেও। প্রধান শিক্ষক জানান, জেলা শিক্ষা দফতরকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানিয়েছি।

হাওড়া গ্রামীণ এলাকার অন্তত সাতটি স্কুল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দেউলপুর হাইস্কুল, সাঁকরাইল গার্লস হাইস্কুল, মহিয়াড়ি কুণ্ডু চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর বারগ্রাম অঞ্চল বিদ্যাপীঠ, জগৎবল্লভপুর চিন্তামণি হাইস্কুল (বয়েজ), গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরও।

সাঁকরাইল গার্লস হাইস্কুলের একটি দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। ভূমিকম্পের সময় ক্লাসে বসেছিল ওই স্কুলের ছাত্রী পৌমী পাল। তার কথায়, ‘‘ক্লাস করছিলাম। হঠাৎই মাথা ঘুরে যায়। তখন বড়দি চেঁচাতে থাকেন, সবাই ক্লাস থেকে নেমে মাঠে চলো। ’’ গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়া বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সহায়তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি।’’

দেউলপুর হাইস্কুলের ভবনেও ফাটল ধরেছে। ভূমিকম্পের পরেই ওই সব স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্কুলগুলির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জেনেছি। রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো সর্বশিক্ষা মিশন বা অন্য প্রকল্প থেকে সেগুলি সারানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’

অন্য দিকে ভূমিকম্পে হুগলির চণ্ডীতলা থানার ভবনের একটি দেওয়ালেও ফাটল ধরেছে। জেলা পুলিশকর্তাদের ঘটনার কথা জানানো হয়েছে বলে ওই থানা সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE