যেখানে বাসস্ট্যান্ড হওয়ার কথা। —নিজস্ব চিত্র।
বছর আটেক আগে শ্যামপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি পরিকল্পনা করেছিল বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হবে গাদিয়াড়ায়। কিন্তু আজও সেখানে বাসস্ট্যান্ড তৈরি হল না।
বাসস্ট্যান্ড তৈরি না হওয়ায় বাস, অটো রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অন্য গাড়িচালক, পথচারীদের। ঘটছে দুর্ঘটনাও। রূপনারায়ণের তীরে গাদিয়াড়া রাজ্যের তথা হাওড়ার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। শীতের মরসুম ছাড়াও সারা বছরই কমবেশি পর্যটকেরা ভিড় করেন এখানে। তাই এখানে একটি বাসস্ট্যান্ডের দাবি উঠেছিল। পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য, তারা নিজস্ব তহবিল থেকে কিছু টাকা খরচ করে গার্ডওয়াল তৈরি করেছে ও ফ্লাইঅ্যাশ ফেলেছে ওই জায়গায়। আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ডের পরিকল্পনাও প্রশাসনের কাছে লপাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কাজ আটকে কেন সে প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বাস ও অন্যান্য যানচালকেরা এর জন্য প্রশাসনিক উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে তৃণমূল পরিচালিত শ্যামপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি গাদিয়াড়ায় আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে উন্নতমানের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা, চালক-খালাসিদের বিশ্রামের জায়গা থাকবে। সেইমতো রাস্তার ধারের দোকানদারদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ত দফতরের বিঘা খানেক জায়গা ঘিরে দেওয়া হয়। আর কিছু অংশ ফ্লাইঅ্যাশ ফেলে বোজানো হয়েছে। কাজ বলতে এটুকুই।
বর্তমানে গাদিয়াড়া থেকে বাগনান, ধর্মতলা, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর-সহ বিভিন্ন রুটের বাস চলে। এছাড়া গাদিয়াড়া থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত শতাধিক অটো, ম্যাজিক চলে। বাসস্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য ওই সব গাড়ি। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে। শনি ও রবিবার পর্যটকদের ভিড়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। শ্যামপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জিত বেরা বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ডের পরিকল্পনা পরিবহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। এর জন্য প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকাখরচ ধরা হয়েছে। অনুমোদন এলেই বাসস্ট্যান্ডের কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy