Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

হাসপাতালের নালা সাফাইয়ে চাওয়া হল টাকা

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর উত্তর হাওড়াতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর হাওড়াতেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশু কন্যার। 

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

দেবাশিস দাশ
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৫
Share: Save:

হাওড়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় এ বার নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। সোমবারই উত্তর হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালের জমা জল ও নর্দমা সাফাই করতে অবিলম্বে টাকা চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আর্জি জানাল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জমা জল বার করে নর্দমা পরিষ্কার করতে এক লক্ষ টাকা দাবি করলেন তাঁরা। পাশাপাশি হাওড়ার পুর কমিশনার পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে অবিলম্বে ডেঙ্গিপ্রধান এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিলেন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর উত্তর হাওড়াতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর হাওড়াতেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশু কন্যার। আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার জন ভর্তি হচ্ছেন

ডেঙ্গির চিকিৎসা করাতে। কিন্তু হাসপাতালের ভিতরে জমা জলে ভেসে থাকা মশার থিকথিকে লার্ভা, যত্রতত্র পড়ে থাকা আবর্জনা, খারাপ হয়ে যাওয়া ফোয়ারার অব্যবহৃত জল, অপরিষ্কার পরিবেশ-গোটা হাসপাতালটিকে ডেঙ্গির আঁতুড় ঘর করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত চিকিৎসক থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে হাসপাতালটির সার্বিক সংস্কারের জন্য বারবার টাকা চাইলেও সেই টাকা মেলেনি।

হাসপাতালের বর্তমান দুরাবস্থার ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেই এ দিনই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস স্বাস্থ্য দফতরের কাছে হাসপাতালটি অবিলম্বে পরিষ্কারের জন্য অর্থ মঞ্জুর করার আবেদন জানান। সোমবার ছটের কারণে ছুটি থাকায় মোবাইলে বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তার কাছে বলেন।

এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা ওই হাসপাতালটি আমূল সংস্কারের জন্য সাত কোটি টাকা চেয়েছিলাম। না পাওয়ায় আপাতত হাসপাতালটির নর্দমা সাফাই-সহ জমা জল বার করে পরিষ্কার করার জন্য এক লক্ষ টাকা চেয়েছি। খুব দ্রুত কাজ শুরু করতে চাই।’’

এ দিকে এ দিনই পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ। বৈঠকে তিনি মশা দমন শাখার কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অফিসারদের নির্দেশ দেন বটানিক্যাল গার্ডেন এলাকার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে যেখানে ডেঙ্গিতে বালিকার মৃত্যু হয়েছে, সেই ওয়ার্ডে মশা দমন শাখার সংখ্যা বাড়াতে।

পুর কমিশনার বলেন, ‘‘মশা দমন শাখার কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ আছে। আজকের বৈঠকে আমি কোনও রকম হালকা মনোভাব নিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেছি। কড়া নজরদারি এবং এলাকা পরিদর্শনের কাজে জোর দিতে বলেছি। মশা দমন শাখার দল আরও বাড়ানো হচ্ছে। গাড়িও বাড়ানো হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE