দগ্ধ: পুড়ছে লরি। নিজস্ব চিত্র
লরির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আমতা গুজারপুর ছোটো পোল এলাকা। মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ আমতা-রানিহাটি রোডের এই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম শেখ জামিরুল হক (২৪)। তিনি আমতার চন্দ্রপুর মোকসেদ পাড়ার বাসিন্দা। এরপরই মৃতদেহ রাস্তার রেখে শুরু হয় পথ অবরোধ। আগুন ধরিয়ে হয় লরিতে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ছুতোর মিস্ত্রি ওই যুবক এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন কলকাতায় কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। চন্দ্রপুর থেকে তিনি অটোয় চেপে ছোটপোল স্টপে নামেন। বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন রাস্তার পাশে। সেই সময় দ্রুত গতিতে একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান জামিরুল। স্থানীয়রা লরিটিকে ধাওয়া করলে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান চালক। উত্তেজিত জনতা লরিটি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মৃতদেহ আটকে রেখে শুরু হয় হাম্পের দাবিতে পথ অবরোধ।
অবরোধের জেরে প্রায় ঘণ্টা তিনেক আমতা-রানিহাটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাতে লাঠি নিয়ে গাড়ি আটকে দিতে দেখা যায় অবরোধকারীদের। হেঁটে যাওয়া সাধারণ মানুষকেও আটকে দেওয়া হয়। লরির আগুন নেভাতে গেলে বাধা দেওয়া হয় দমকল কর্মীদের। অবরোধকারীদের দাবি ছিল, অবিলম্বে এই এলাকায় রাস্তায় হাম্প তৈরি করতে হবে, ২৪ ঘণ্টা রাস্তার এই জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করতে হবে, রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও সেতু চওড়া
করতে হবে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিলে উঠে যায় অবরোধ। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরির আগুন নিভিয়ে দেয়। ক্রেনের সাহায্যে লরিটিকে সরানোর পর স্বাভাবিক হয় যানচলাচল।
চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ মহম্মদ ফারুক বলেন, ‘‘প্রতিদিন এই রাস্তায় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। পুলিশের কোনও নজর নেই। একটা কিছু পাওয়া জন্য এ ভাবে প্রাণের মাসুল দিতে হবে, ভাবিনি।’’ লরি চালককে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত চালককে দ্রুত ধরা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy