অভিযোগ, স্টেশনের পাশেই চলে চোলাই ঠেক। নিজস্ব চিত্র
বিষমদে ১২ জনের মৃত্যুর পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। হাও়ড়া গ্রামীণ জেলায় অভিযান চালিয়ে গত তিন দিনে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ১০০০ লিটার চোলাই। কিন্তু তাতেও থামেনি ঠেকের রমরমা। শুক্রবারও কোথাও কোথাও দিব্যি চলেছে চোলাই ব্যবসা— একেবারে প্রকাশ্যে।
পুলিশি অভিযানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঠেক যে চলছে আগের মতোই, তা দেখা গেল এ দিন সকালে কুলগাছিয়া স্টেশনের ডাউন প্লাটফর্মের পাশে। ছোট ছোট সিমেন্টের চাঙড়ে বসার ব্যবস্থা, ১০ থেকে ৩০ টাকা প্যাকেটে মেলে নেশার চোলাই। ত্রিপল টাঙানো দোকানে তাই সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় খদ্দেরের আনাগোনা। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ক্যামেরা তাক করতেই ছিটকে পালাল দোকানদার। একে একে পিঠটান দিল খদ্দেরেরাও। কেউ আবার মুখ ঢেকে নিল হাতের পাতায়।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পুলিশের মদতেই চলে চোলাই ঠেক। আবগারি দফতর সূত্রে দাবি, উলুবেড়িয়া থানা এলাকায় ধূলাসিমলা, মদাই, শাঁখাভাঙা, বোয়ালিয়া আমতলায় ২৫-৩০টা ভাটি রয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলায় কয়েকশো চোলাইয়ের ঠেক চলে। অথচ পুলিশের খাতায় তিন দিনে গ্রেফতার মাত্র ১১ জন। উলুবেড়িয়া থানা এলাকায় থেকে মাত্র তিন জন গ্রেফতার। আটক করা হয়েছে ৩০০লিটার চোলাই। তাতে এলাকার বাসিন্দারা অসন্তুষ্ট। তাঁদের অভিযোগ, এই অভিযানে ফাঁকি রয়েছে।
কুলগাছিয়া স্টেশনে ট্রেন ধরতে আসা নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চোলাই ঠেক চলে স্টেশনের পাশে। সাধারণ মানুষ, পুলিশ— সকলেই সব জানেন। কিন্তু কোনও সুরাহা নেই। যদিও পুলিশ সে অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, অভিযান আগেও হয়েছে। আবার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy