হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।
কয়েক বছর আগে হাওড়া পুর এলাকায় বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ঠিক ভাবে না এগোনোয় সেই কাজ মাঝপথে থমকে যায়। এ বার ফের ওই তালিকা তৈরি করে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বরোগুলিকে নির্দেশ দিল হাওড়া পুরসভা।
গত ১০ এপ্রিল হাওড়া পুরসভার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ কালবৈশাখীর দাপটে ভেঙে পড়ে। কংক্রিটের নীচে চাপা পড়ে মারা যান এক গৃহবধূ। ওই ঘটনার পরে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা গিয়ে দেখেন, বাড়িটির অবস্থা ভয়াবহ। যে কোনও সময়ে সেটি পুরো ভেঙে পড়তে পারে। এর পরেই বাড়িটি ভাঙতে তৎপর হয় পুর প্রশাসন। কিন্তু সেখানে বসবাসকারী ১০ ঘর ভাড়াটে উঠে যেতে রাজি হননি। যার ফল, আজ পর্যন্ত বাড়িটি ভাঙা যায়নি।
এই ঘটনার পরেই কার্যত টনক নড়ে হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষের। হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, পুর এলাকায় বহু পুরনো বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। বিভিন্ন কারণে ওই বাড়ির মালিকেরা তাঁদের বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করতে অপারগ। এর ফলে এক দিকে যেমন ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকছে, অন্য দিকে বাড়ির কোনও অংশ ভেঙে প্রতিবেশী বা পথচারীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে বলেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
এই জোড়া বিপদ ঠেকাতে বিপজ্জনক বাড়িগুলি চিহ্নিত করে প্রতিটি বরোর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং বালির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ
দিয়েছেন পুর কমিশনার। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেই কাজ। দু’সপ্তাহের মধ্যে বিপজ্জনক বাড়ি সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে। বাড়ির খুঁটিনাটি বিবরণ, মালিক কারা, কত জন দাবিদার, কত বাসিন্দা সেখানে থাকেন— সব থাকতে হবে ওই রিপোর্টে।
পুর কমিশনার জানিয়েছেন, তাঁদের সার্ভেয়ারদের রিপোর্ট অনুযায়ী কোনও বাড়ি বিপজ্জনক হলে সেটির মালিককে নোটিস পাঠানো হবে। বাড়িটির কী ব্যবস্থা করতে চান তিনি, জানতে চাওয়া হবে মালিকের কাছে। কিন্তু কোনও বাড়ির মালিক যদি সদুত্তর না দেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেবে পুর প্রশাসন। পুর কমিশনার আরও জানিয়েছেন, কোনও বাড়ি বিপজ্জনক ঘোষণার পরেই সেটি ভেঙে দেওয়া হবে না। মালিক বা বসবাসকারীদের জানিয়েও কোনও ফল না হলে তখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy