প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় আরও জোর দিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা ভেঙে ছোট ছোট পুলিশ জেলা তৈরি করছে রাজ্য। তারই অঙ্গ হিসেবে হাওড়ার দক্ষিণ প্রান্তের কয়েকটি থানা নিয়ে নতুন জ়োন তৈরির জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠাল হাওড়া সিটি পুলিশ।
২০১১ সালে হাওড়া জেলা পুলিশকে ভেঙে শহর এলাকার থানাগুলি নিয়ে তৈরি হয়েছিল কমিশনারেট। তখন থেকেই ১৪টি থানা উত্তর ও দক্ষিণ, এই দুই জ়োনে বিভক্ত। গত বছরের দুর্গাপুজোর আগে এর সঙ্গে যুক্ত হয় হাওড়া গ্রামীণের দু’টি থানা—ডোমজুড় এবং সাঁকরাইল। সব মিলিয়ে হাওড়া কমিশনারেটে এখন থানার সংখ্যা ১৬। উত্তর জ়োনে রয়েছে নিশ্চিন্দা, বালি, বেলুড়, লিলুয়া, গোলাবাড়ি ও মালিপাঁচঘরা থানা। অন্য দিকে বটানিক্যাল গার্ডেন, হাওড়া, চ্যাটার্জিহাট, শিবপুর, সাঁতরাগাছি, জগাছা, দাশনগর, ব্যাঁটরা, ডোমজুড় ও সাঁকরাইল থানা নিয়ে দক্ষিণ জ়োন। দু’টিতেই আইপিএস পদমর্যাদার দু’জন ডেপুটি কমিশনার রয়েছেন।
প্রস্তাবিত জ়োন
সাউথ: সাঁতরাগাছি, জগাছা, ডোমজুড়, সাঁকরাইল
সেন্ট্রাল: বটানিক্যাল গার্ডেন, শিবপুর, চ্যাটার্জিহাট, হাওড়া, দাশনগর, ব্যাঁটরা
নর্থ: নিশ্চিন্দা, বালি, বেলুড়, লিলুয়া, মালিপাঁচঘরা, গোলাবাড়ি (অপরিবর্তিত)
পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়া সদর থেকে ছোট গাড়িতে ডোমজুড় ও সাঁকরাইল থানায় পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। বড় গোলমাল সামলাতে শিবপুর পুলিশ লাইন থেকে ওই সব এলাকায় বড় গাড়িতে বাহিনী যেতে আরও সময় লাগে। ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকদেরও সদর থেকেই যেতে হয়। সব মিলিয়ে সময়ের ব্যবধানটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় বলেই মত পুলিশকর্তাদের একাংশের। কয়েক দিন আগেই নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সাঁকরাইল ও ডোমজুড়ের কিছুটা অংশ এবং জগাছা এলাকা। ওই সব এলাকায় বাহিনী জড়ো করতে বেগ পেতে হয়েছিল পুলিশকর্তাদের। বাহিনী কম থাকায় কয়েক জায়গায় পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কয়েক জন আহতও হন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পরেই হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা আইনশৃঙ্খলায় আরও জোর দিতে দক্ষিণ জ়োনে থাকা ১০টি থানাকে দু’টি ভাগে (সাউথ ও সেন্ট্রাল) ভাগ করার পরিকল্পনা করেন। তবে উত্তর জ়োন অপরিবর্তিত থাকছে। সিটি পুলিশের প্রস্তাবটি রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে নতুন তৈরি হবে ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) পদটি। পরিকল্পনা রয়েছে, নতুন সাউথ জ়োন তৈরি হলে সাঁকরাইলের দিকে পুলিশবাহিনী ও অন্য সুযোগসুবিধা-সহ ডেপুটি কমিশনারের স্বয়ংসম্পূর্ণ অফিস তৈরি করা হবে। তাতে ডোমজুড়, সাঁকরাইল, জগাছা, সাঁতরাগাছি এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে ডিসি বা এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেন। শিবপুর পুলিশ লাইন বা অন্য থানা থেকে বাহিনী যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy