ছবি: সংগৃহীত
শনিবার রাতে নয়, আগামী রবিবার ভোর থেকে বসবে মঙ্গলাহাট। গত শনিবার হাট শুরুর প্রথম দিনের পরিস্থিতি বিবেচনা করেছিল প্রশাসন। এর পরে এই সূচি বদলের সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া স্থায়ী হাট-ভবনের পাশাপাশি ফুটপাতেও খুচরো ব্যবসায়ীরা বসতে পারবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হাট ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মধ্য হাওড়ার বিধায়ক তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, পুর কমিশনার ধবল জৈন ও জেলা পরিষদের কর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেন। রাতে হাট চালু করায় যে অধিকাংশ ব্যবসায়ীই যোগ দিতে পারেননি, সেটি ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। তাই কোভিড–বিধি মেনে রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টে থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হাট চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের সতর্কতায় দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল মঙ্গলাহাট। চলতি মাসের শুরুতে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, কোভিড-বিধি মেনে শুধুমাত্র ১১টি হাট-ভবনের স্টল মালিকেরা শনিবার রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত হাটে বসতে পারবেন। দু’সপ্তাহ এ ভাবে চলার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম দিনেই দেখা যায়, মঙ্গলাহাটের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ওই রাতে দোকান খোলেননি। ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল নামমাত্র। এর পরেই দিনের বেলা হাট শুরু করা নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের উপরে চাপ বাড়াতে থাকেন।
বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, ‘‘২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার ভোর ৪টে থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হাট খোলা থাকবে। কোভিড সুরক্ষার যাবতীয় বিধি মেনে হাট বসছে কি না, সেই দিকে প্রশাসন নজরে রাখবে।’’
মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘বহু মানুষ হাট বন্ধ থাকায় তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা জানিয়েছেন। সেই সব কথা ভেবেও এই সিদ্ধান্ত। রবিবার ভোরে হাট শুরু করতে গেলে শনিবার রাত থেকেই আসতে শুরু করবেন ব্যবসায়ীরা। এতে সমস্যা হবে না।’’
যে কারণে মঙ্গলাহাট গত ছ’মাস বন্ধ ছিল, সেই সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত কমার লক্ষণ নেই। তা সত্ত্বেও হাট খুললে পরিস্থিতি ফের খারাপ হবে, সেই আশঙ্কাও নতুন করে ভাবাচ্ছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, রবিবার সমস্ত সরকারি দফতর ছুটি থাকে, তাই কোভিড-বিধি লঙ্ঘন হওয়ার কথা নয়। যদিও হাট সংলগ্ন এলাকায় হাওড়া জেলা হাসপাতাল, সে কথা ভেবে সব রকম কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিচ্ছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy