Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হাওড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই চটকলের গুদাম

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ বেলুড়ের অম্বিকা জুটমিলে দোতলার মূল গুদামে আগুনের ফুলকি দেখতে পান কর্মচারীরা।

আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকলকর্মীরা। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকলকর্মীরা। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০২:০৪
Share: Save:

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেল হাওড়ার একটি চটকলের গুদাম। ভেঙে পড়েছে গুদামের টিনের চালও। ওই গুদামে পাটের তৈরি নানা সামগ্রী মজুত করা ছিল। সবই পুড়ে গিয়েছে বলে দমকল জানিয়েছে। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিকেল পর্যন্ত সেখানে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন বিকেল পর্যন্ত সেখানে ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ বেলুড়ের অম্বিকা জুটমিলে দোতলার মূল গুদামে আগুনের ফুলকি দেখতে পান কর্মচারীরা। দিনে তিন শিফটে চলা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মীর ওই কারখানাটি তখন চালু ছিল। কর্মীরা জানান, আগুন দেখতে পেয়েই তাঁরা নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দেন। কারখানার নিজস্ব অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থার সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন কর্তৃপক্ষ।

কারখানার নিরাপত্তা অফিসার বীরেন কর্মকার বলেন, ‘‘গঙ্গা থেকে জল আনার জন্য আলাদা পাইপলাইন রয়েছে। কিন্তু ভাটা চলায় পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায়নি। আগুন নেভাতে সমস্যা হয়।’’ তার উপরে কারখানার অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। জ্বলতে থাকে মূল কারখানার দোতলার গুদামটি। কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আসে। কিন্তু জল শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সমস্যায় পড়ে। ল্যাডারেও গোলমাল দেখা দেওয়ায় আগুনের কাছে পৌঁছতে দমকলকর্মীরা অসুবিধায় পড়েন বলে অভিযোগ কারখানা কর্তৃপক্ষের। পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন আসে। দুপুর একটার সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দোতলার ধ্বংসস্তূপ থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে দেখা যায়। এরই মধ্যে ওই গুদামের টিনের ছাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তাপে ফেটে যায় দোতলার দেওয়ালও। কারখানার ম্যানেজার এ কে সিংহের অভিযোগ, ‘‘দমকল দেরিতে এসেছে এবং পর্যাপ্ত জল নিয়েও আসেনি। তাই আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বারবার বলার পরে তবে ছ’টি ইঞ্জিন আসে। আমাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দমকলের হাওড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সুদীপ্ত বিট বলেন, ‘‘এই সব অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। খবর পেয়েই চলে এসেছিলাম। আগুনও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। জল পর্যাপ্তই ছিল। কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ দমকল জানিয়েছে, পাটের আগুন সহজে নেভে না। তাই বিকেল পর্যন্ত বারবার আগুন জ্বলে উঠেছে ধ্বংসস্তূপে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গুদামটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE