মোচ্ছব: চলছে খাওয়া-দাওয়া। নিজস্ব চিত্র
বদলি হয়ে যাচ্ছেন আধিকারিক। যাওয়ার আগে সহকর্মীদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করেছিলেন ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসে। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাই ফাঁকা পড়েছিল বেশির ভাগ চেয়ার। যাঁরা কাজ নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেছেন অফিসের বাইরে। বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে করে ফিরেও গিয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ উঠল আরামবাগের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই অফিসের রেভেনিউ অফিসার অনিন্দিতা চৌধুরী বদলি হয়ে যাবেন বলে সহকর্মীদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। অন্যত্র জায়গা না থাকায় অফিসের ছাদেই বাঁধা হয়েছিল ম্যারাপ— ফ্রায়েড রাইস, মাংস, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টির এলাহি আয়োজন। দুপুর ২টোর পর থেকে শুরু হয় খাওয়া দাওয়া। কিন্তু তার আগে চলেছে রান্নাবান্না। অভিযোগ, সকাল থেকেই অগোছালো অফিসে দেখা মেলেনি বেশির ভাগ কর্মীর।
এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ কাজে এসেছিলেন কুন্তল মাইতি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তখন থেকেই বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই হচ্ছে, এই হবে বলে দুপুর গড়িয়ে গিয়েছে। কাজ আর হয় না।’’ বেলা সাড়ে ৩টে পর্যন্ত কাজ না হওয়ায় ফিরে গিয়েছেন তিনি।
কিন্তু সরকারি অফিসে কাজের সময় এ ভাবে খাওয়া দাওয়া করা যায়? উত্তরে অনিন্দিতাদেবী বলেছেন, ‘‘এমন খাওয়া দাওয়া সব অফিসেই হয়, সেটা হওয়া উচিতও। আর কাজের সময় না হলে কখন হবে? একসঙ্গে সবাইকে পাব কখন? আপনার যা করার করতে পারেন।’’ এরপর প্রতিবেদক কেন ছবি তুলছেন, তা জানতে চেয়ে হেনস্থা করা হয়।
খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে অবশ্য অন্যায় কিছু দেখেননি মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক কমলকান্তি পোল্লেও। তিনি বলেন, ‘‘অনিন্দিতা বদলি হয়ে যাচ্ছেন বলে একটু টিফিনের আয়োজন করেছেন। তবে উনি যেটা বলেছেন, সেটা ঠিক করেননি। আমি বিষয়টা দেখছি। আর সাধারণ মানুষ যদি পরিষেবা না পেয়ে থাকেন, তবে সেটা আমি দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy