পুকুরের ধার ঘেঁষে ধস। ছবি: তাপস ঘোষ।
একটানা বৃষ্টির মধ্যে সোমবার সকালে চন্দননগরের ধর্মরাজতলায় একটি পুকুরের দু’দিকের রাস্তায় ধস নামল। এর জেরে আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকায়। বিশেষ করে পুকুর পাড়ের বাসিন্দারা ফের বৃষ্টি হলে বাড়িঘর ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে পুরসভার লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধস মেরামতি শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে পুরসভার মুখ্য বাস্তুকার মধুসূদন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যাওয়াতেই রাস্তা ধসে পুকুরে নেমে গিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শাল বল্লা দিয়ে ধস আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে পুকুরের দু’পাড় বাঁধিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে যান চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি রাস্তার ধস মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় পুকুর পাড়ের একটি রাস্তা পিচের। প্রায় ১০ ফুট চওড়া। এ দিন সকালে ওই এলাকার বাসিন্দারা দেখেন, পুকুরের পাড় বরাবার অন্তত সাত ফুট রাস্তা ধসে নেমে গিয়েছে পুকুরের গর্ভে। ধস লম্বায় অন্তত ৩০ ফুট। পিছনের পাড়ায় যেতে হলে এই পিচের রাস্তাটি দিয়েই যেতে হয়। অন্য রাস্তাটি কাঁচা। ফুট ছয়েক চওড়া। সেই রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ ধসে গিয়েছে। এই রাস্তার ধারের বাসিন্দারাই মূলত আতঙ্কে ভুগছেন।
পলাশ ঘোষ নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘পুকুরটি দীর্ঘদিনের পুরনো। আগেও তো এমন বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু রাস্তার এ ধরনের ক্ষতি হয়নি। এখন একটানা বৃষ্টি হলে আতঙ্কে থাকতে হবে।’’ সুরূপা মুখোপাধ্যায় নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা ১৫ বছর এখানে বসবাস করছি। কিন্তু এই অবস্থা প্রথম দেখলাম। এর পরে না বাড়িতে ফাটল ধরে।’’ নতুন করে আর যাতে বিপদ না ঘটে সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক তাতে কমছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy