Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভেঙে পড়ল পুরনো বারান্দা

ধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানের মুগকল্যাণ গ্রামে। কেউ আহত হননি।

বেহাল: ভেঙে যাওয়ার পর। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: ভেঙে যাওয়ার পর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বাগনান শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০১:০৫
Share: Save:

আচমকা রাস্তার উপর ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ির প্রায় কুড়ি ফুট দৈর্ঘ্যের বারান্দার একটি অংশ। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানের মুগকল্যাণ গ্রামে। কেউ আহত হননি।

যে বাড়িটির বারান্দা ভেঙে পড়েছে, সেটি বহু বছরের পুরনো ও জীর্ণ। বারান্দাটি ভেঙে পড়ার সময় বিকট শব্দ হয় বলে বাসিন্দারা জানান। আশেপাশের অনেক বাড়ি কেঁপে ওঠে। বারান্দাটি ভেঙে পড়ে গ্রামের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তার উপর। প্রতিদিন কয়েকহাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ ঘোষ, সুব্রত মিত্ররা জানান, ভাগ্য ভাল, ভোরবেলা ঘটনাটি ঘটেছে। না হলে বড় কোনও বিপদ হতে পারত।

ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার, বৃহস্পতিবার দু’দিনই ঘটনাস্থলে আসেন মুগ বেনাপুর পঞ্চায়েতের কর্তারা। তাঁদের তত্ত্বাবধানে রাস্তা থেকে ভাঙা অংশ পরিষ্কার করা হয়। গ্রামবাসীরা জানান তাঁরা বহুদিন ধরেই বারান্দাটি ভেঙে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধান জব্বার আলি বলেন, ‘‘গত ১৯ আগস্ট বাড়ির মালিককে নোটিশ দিয়ে বারান্দা ভেঙে দিতে বলা হয়। তাঁরা রাজি ছিলেন। মজুরও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার আগেই বারান্দাটি ভেঙে পড়ে।’’

গ্রামবাসীরা দাবি জানান, জীর্ণ বাড়িটিও ভেঙে দিতে হবে, না হলে বাড়িটি ভেঙে পড়ে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রধান বলেন, ‘‘বাড়িটি ঠিক কী অবস্থায় আছে, তা ইঞ্জিনিয়রদের দিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য বিডিওর কাছে আবেদন জানাব। রিপোর্টে যদি বলা হয় বাড়ি ভাঙতে হবে, তা হলে বাড়ির মালিকদের সেই মর্মে নোটিশ দেওয়া হবে।’’ বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানেই বারান্দার বাকি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। এই বাড়িটির অনেক শরিক, এখানে থাকেন শুধু অমিতাভ পালের পরিবার। অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Howrah Bagnan Lawn Broken Down
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE