প্রতিবাদ: আইনজীবীদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
আইনজীবীদের দফতরে ঢুকে চোখ রাঙানো হয়েছে আইনজীবীদেরই। অভিযোগের আঙুল পুলিশের দিকে। তারই জেরে শিকেয় উঠল শ্রীরামপুর আদালতের কাজকর্ম। ভুগলেন কয়েকশো বিচারপ্রার্থী।
শনিবার পুলিশের সঙ্গে আইনজীবীদের সংঘাতের জেরে শ্রীরামপুর আদালতে প্রায় কোনও কাজকর্মই হয়নি। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়িতে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ— এমনই অভিযোগ। পুলিশের ‘বাড়াবাড়ি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন আইনজীবীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর বিডিও অফিস এবং মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন দাখিল পর্ব চলছে। সেই জন্য রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। মহকুমাশসকের দফতর এবং এবং আদালত একই চৌহদ্দিতে। আইনজীবীদের অভিযোগ, রাস্তায় নাকাবন্দির ফলে গাড়ি নিয়ে আদালতের আসতে অসুবিধা হচ্ছে। বাধা দিচ্ছে পুলিশ। সমস্যায় পড়ছেন বিচারপ্রার্থীরাও।
এ দিন এক বিচারকের গাড়িও আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তার উপর চন্দননগর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা আইনজীবীদের সেরেস্তায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তাতে ক্ষোভ বাড়ে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে আইনজীবীদের রীতিমতো বচসা হয় বলে জানা গিয়েছে। আইনজীবীরা আদালত চত্বরে মিছিল করেন, হয় প্রতিবাদ সভাও। চলতে থাকে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান। বিচারকদেরও বিষয়টি জানান তাঁরা।
আইনজীবীদের অভিযোগ, ওই পুলিশ অফিসার সেরেস্তায় ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাঁর দাবি, মনোনয়নের কারণে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি আছে তাই জিজ্ঞাসাবাদ। সিদ্ধেশ্বর বেজ নামে এক প্রবীণ আইনজীবী বলেন, ‘‘বিচার বিভাগীয় চৌহদ্দিতে ঢুকে বিনা প্ররোচনায় ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন পুলিশকর্তারা। মক্কেলদের বেরিয়ে যেতে বলেন।’’ শেষে বিচারকদের মধ্যস্থাতায় সমস্যা মেটে।
সেরেস্তায় ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘মনোনয়ন জমার কাজ চলছে বলেই যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তা নিয়েই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মিটেও গিয়েছে।’’ কমিশনারেটের কর্তাদের বক্তব্য, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যতটা সম্ভব আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বা আদালতের কাজে আসা কারও যাতে সমস্যা না হয়, তাও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy