প্রতীকী ছবি।
ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারের অন্ত নেই। অথচ পরিষেবা মেলে না কিছুই। হাওড়া জেলার তফসিলি জাতি, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের বিরুদ্ধে জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনটাই। অভিযোগ, তফসিলি জাতি এবং ওবিসি সংক্রান্ত শংসাপত্র এক মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তা পেতে বছর গড়িয়ে যায়। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের দাবি, কর্মী সঙ্কটের জেরেই এমন অবস্থা। কর্মী নিয়োগ না হলে সমস্যা মেটার আশাও নেই।
তফসিলি জাতি এবং ওবিসি সংক্রান্ত এই শংসাপত্র, চাকরি-ভাতা প্রভৃতি নানা বিষয়ে কাজে লাগে। তফসিলি জাতি, আদিবাসী ও অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের এই সুযোগ-সুবিধাগুলি কীভাবে পাওয়া যায় তা প্রচারের জন্য বিভিন্ন ব্লকে ঢাকি নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা পাড়া এবং স্কুলে গিয়ে ঢাক বাজিয়ে প্রচার করে থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, ওই শংসাপত্র ঠিক সময়ে না পাওয়ায় তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির মানুষেরা সরকারি সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সমস্যাটা ঠিক কোথায়?
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার প্রতিটি ব্লকে তফসিলি জাতি, আদিবাসী ও অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের শাখা রয়েছে। সেখানে একজন করে ইন্সপেক্টর রয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও সহকারী নেই। ইন্সপেক্টরকেই আবেদনপত্র জমা নেওয়া থেকে শুরু করে কম্পিউটারে আপলোড করা এবং মহকুমাশাসকদের দফতরে সেগুলি পাঠানোর কাজ করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবেদনকারী যে এলাকার বাসিন্দা সেখানে সরেজমিন তদন্ত করতে যেতে হয় ইন্সপেক্টরদের। কিন্তু সময়ের অভাবে সেই কাজে দেরি লেগেই থাকে। ফলে মাসের পর মাস পড়ে থাকে আবেদনপত্র। প্রার্থীরা শংসাপত্র আর পান না। এই ছবি জেলার ১৪টি ব্লকের সর্বত্র।
ইন্সপেক্টরদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, প্রচারের ফলে বিডিও অফিসগুলিতে শংসাপত্র নেওয়ার জন্য ঢল নামে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রার্থীকে ঠিক সময়ে শংসাপত্র দেওয়া যায় না। ইনস্পেক্টরদের একটা অংশের অভিযোগ, তাঁদের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী দেওয়া হয়নি। যে ঢাকিদের প্রচারের করার কথা, তাঁদের দিয়েই অনেক সময়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাজ করাতে হয়।
বেঙ্গল ইন্সপেক্টরর্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমস্যাটি রয়েছে রাজ্য জুড়েই। ইউনিয়নের দাবি, প্রতি ব্লকে অন্তত একজন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হোক। তাতেও ইন্সপেক্টরদের কাজের চাপ কমবে। আরও দ্রুত আবেদনকারীরা শংসাপত্র পাবেন। এই দাবিতে দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলেও ইউনিয়ন সূত্রের খবর। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘ডেটা এন্ট্রি নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। দেখা যাক কী হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy