দাবি: এই রাস্তাই পাকা হোক, চাইছেন স্থানীয়েরা। —নিজস্ব িচত্র
‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে সাজছে চন্দননগর। তবু এখনও এ শহরে রয়ে গিয়েছে কাঁচা রাস্তা। কবে পাকা হবে, জানেন না এলাকাবাসী। নিকাশি নালা কর্যত উধাও। ঢেকে গিয়েছে ঝোপঝাড়ে। কবে সংস্কার হবে, সে উত্তর এলাকাবাসী পাননি।
উন্নয়ন থেকে ‘বঞ্চিত’ শহরের এ তল্লাটের ঠিকানা— সার্কাস মাঠ সংলগ্ন চারাবাগান। এলাকাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার সমস্যার কথা পুরসভাকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিবার ভোটের আগে রাস্তা এবং নালা সংস্কারের আশ্বাস দেয় রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু ভোটের পরে আর পরিস্থিতি পাল্টায় না। এ বারেও ভোটের মুখে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চন্দননগরের পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার গোচরে আসেনি। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে ওই এলাকার বাসিন্দারা পুরসভায় যোগাযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’ ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ওখানে পাকা রাস্তা এবং নিকাশি নালা তৈরির জন্য বিভিন্ন সময় পুরসভার বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে উন্নয়ন খাতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকাও মঞ্জুর হয়। কিন্ত কী কারণে কাজটা হয়নি বলতে পারব না।’’ ওই এলাকায় বিরোধী দলের নেতারা দাবি করছেন, সেই সময়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কাজটা হয়নি। যদিও কবিতাদেবী সে কথা মানেননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
চারাবাগান এলাকাটিতে অন্তত ১০টি পরিবারের বসবাস। মানকুণ্ডু স্টেশন রোড থেকে ওই এলাকায় যেতে হলে ১৫০ মিটারের কাঁচা রাস্তাই ধরতে হয়। তবে, আট ফুটের চওড়া রাস্তা চলাচলের উপযোগী রয়েছে পাঁচ ফুট। বাকিটা ঢেকেছে ঝোপঝাড়ে। আগাছার কারণে নিকাশি নালাটিও কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষার সময় রাস্তায় জল-কাদায় চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। বাম আমল থেকে বহুবার পুরসভাকে জানানো হলেও কাজ হয়নি।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আরতি দত্তের ক্ষোভ, ‘‘আমার ৯৩ বছর বয়স হল। সরকার বদল হয়, পুরবোর্ড বদল হয়। কিন্তু চারাবাগানের কোনও বদল নেই।’’ নির্মল শেঠ নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা যে কী অন্যায় করেছি জানি না। পুর পরিষেবা থেকে কেন বঞ্চিত হতে হচ্ছে? কয়েকবার রাস্তা এবং নিকাশি নালা তৈরির জন্য মাপজোক হয়েছিল। তারপরে আর কিছুই হল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy