বিজেপির দুই হেভিওয়েটের প্রচারের পর আজ, মঙ্গলবার দুই জেলায় নির্বাচনী জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পারুল মাঠে দুপুর ১টা নাগাদ এবং খানাকুল লাইব্রেরি সংলগ্ন ফুটবল মাঠে দুপুর ২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী সভা। দুটি সভাস্থলেরই ৩০০ ফুট দূরে বানানো হয়েেছ হেলিপ্যাড। পুরো মাঠ ছাউনি দিয়ে ঢাকার কাজ চলছে জোরকদমে।
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার ওরফে আফরিন আলির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর সভা দু’টিতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে নেতৃত্বের দাবি। যদিও যা ছাউনির ব্যবস্থা হয়েছে তাতে ১০-১৫ হাজার মানুষ গাদাগাদি করে বসতে পারবেন। দলীয় স্তরে সভার তদারকিতে থাকা আরামবাগ ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “রবিবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের কিছু অংশ ছাউনি দিতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ বসতে পারেন।”
খানাকুলের মাঠ অবশ্য ছোট। এমনিতেই ১০ থেকে ১৫ হাজার লোকের বেশি সঙ্কুলান হবে না বলে পুলিশের মত। তবে পানীয় জল, অস্থায়ী শৌচাগার, পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে জেলার পুলিশ কর্তা এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দফতরের কর্তারা বৈঠক করছেন।
মহকুমায় একই দিনে দুটি নির্বাচনী সভা ঘিরে উত্তেজিত দলের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও দলের একটা অংশের অভিযোগ, গোষ্টীদ্বন্দ্বের বিষয় নিয়ে নেত্রী উদাসীন। প্রার্থী বাছাই নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের দাবি, সভায় লোক এলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়বে। এই পরিস্থিতিতে নেত্রী কী বার্তা দেন তা নিয়ে আগ্রহী সকলেই।
অন্য দিকে, আজই জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়ায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা শুরু হওয়ার কথা বেলা ১টায়। গরমের কথা মাথায় রেখে মাঠে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান জগৎবল্লভপুর কেন্দ্র তৃণমূল সভাপতি বিকাশ ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy