কড়া: পুলিশি নজরদারিতে মিছিল চণ্ডীতলার আঁইয়ায়। ছবি: দীপঙ্কর দে
শুধু বিজেপি নয়, রামকে নিজেদের রাজনীতির পরিমণ্ডলে মিশিয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। কয়েক বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে হুগলিতেও রামনবমীতে শোভযাত্রা করছে তারা। এ বার ভোট-পর্বে সেই শোভাযাত্রা আরও ছড়াল।
শনিবার সকালে উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার চারটি ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলররা ‘কলস যাত্রা’য় সামিল হন। পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মাখালতলা থেকে সেই শোভাযাত্রা বের হয় সাড়ে ন’টায়। তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক পা মেলান। মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের মাথায় ছিল কল। ছিল রামের ছবিও। শোভাযাত্রাটি টিএন মুখার্জি রোড হয়ে উত্তরপাড়া ও মাখলার বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে বাবুঘাটে গিয়ে শেষ হয়।
পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ওই শোভাযাত্রায় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তিন বছর ধরে এই শোভাযাত্রা করছি। আমাদের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি হনুমান মন্দির আছে। আমাদের পুলিশের অনুমতিও ছিল। কিন্তু শোভাযাত্রায় কোনও অস্ত্র ছিল না। আমরা উৎসবের মেজাজে রামনবমী পালন করেছি।’’ বিকেল পাঁচটা নাগাদ পান্ডুয়াতেও কলাবাজার থেকে মেলাতলা পর্যন্ত জিটি রোড ধরে শোভাযাত্রা করে তৃণমূল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভোট-পর্বের মধ্যেই অস্ত্র হাতে রামনবমী পালনের ডাক দিয়েছে বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার। এ দিন হুগলিতে অবশ্য অস্ত্র নিয়ে কোনও মিছিল দেখা যায়নি। পুলিশ অবশ্য পরিস্থিতি সামলাতে এ বার রামনবমীর শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন থানা এলাকায় দিন ভাগ করে দিয়েছে। এ দিন জাঙ্গিপাড়া এবং চণ্ডীতলা এলাকাতেও বিকেলে শোভাযাত্রা হয়। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সূত্রে খবর, ‘রামনবমী উদ্যাপন কমিটি’র মোট চারটি শাখা সংগঠন দুই থানা এলাকায় মোট চারটি মিছিলের অনুমতি নিয়েছিল। বিকেল থেকেই চণ্ডীতলার হরিপুর, ইচ্ছাপসর, জাঙ্গিপাড়ার লক্ষ্মণপুর, কোলেপাড়া অঞ্চলে মিছিলগুলি প্রদক্ষিণ করে। দু’টি জায়গাতেই মিছিলে শাসকদলের কোনও নেতাকে চোখে পড়েনি।
শনিবার হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রা হয়নি। আজ, রবিবার ওই শোভাযাত্রা করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের ফুলেশ্বর দুর্গাবাড়ি শাখার কর্তারা জানিয়েছেন, উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর থেকে এই শোভাযাত্রা যাবে কালীবাড়ি পর্যন্ত। দুর্গাবাড়ি শাখাই এই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা। হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, আমরা রামনবমীর বিভিন্ন শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করেছি যেন তাঁরা শোভাযাত্রায় অস্ত্র ব্যবহার না-করেন। এখন নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy