Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এগারো বছর পর ধৃত প্রতারণায় অভিযুক্ত

হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর এগারো বছর ধরে ‘পলাতক’, প্রতারণায় অভিযুক্তকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শৌভিক ভট্টাচার্য ওরফে দুষ্টু। মুম্বই থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ০৭:৩০
Share: Save:

হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর এগারো বছর ধরে ‘পলাতক’, প্রতারণায় অভিযুক্তকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শৌভিক ভট্টাচার্য ওরফে দুষ্টু। মুম্বই থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মা মিনতি ভট্টাচার্য শ্রীরামপুর ডাকঘরের এজেন্ট ছিলেন। অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে ডাকঘরে জমানোর নাম করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এক কোটিরও বেশি টাকা তোলেন মা-ছেলে। কিন্তু সেই টাকা ডাকঘরে জমা দেননি। যাঁদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ফেরতও দেওয়া হয়নি। ২০০৭ সালে মা-ছেলের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মিনতিদেবী সেই সময় গ্রেফতার হন। বেশ কিছু দিন তাঁকে জেলে থাকতে হয়। কিন্তু ঘটনার পরেই শৌভিক পালিয়ে যান বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ ধরতে না পারলেও আদালতে জামিনের আবেদন করেন ওই যুবক। যদিও আগাম জামিনের আবেদ‌নও নাকচ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টও আগাম জামিন না-মঞ্জুর করে। ওই যুবক শ্রীরামপুরের ঠিকানায় থাকছেন না বলে কয়েক বছর আগে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় বলেও জানায়।

সম্প্রতি ফের কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন শৌভিক। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জামিন নাকচ করে দেন। শ্রীরামপুর থানার আইসি নন্দদুলাল ঘোষকে ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতি জানতে চান, এত দিনেও পুলিশ কেন তাঁকে ধরতে পারল না। দ্রুত ওই যুবককে গ্রেফতার করতে আইসিকে নির্দেশ দেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ তৎপর হয়। সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক মুম্বইতে রয়েছেন। এর পরেই শ্রীরামপুর থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে চেম্বুর থেকে সোমবার তাঁকে ধরে। ট্রানজিট রিম্যান্ডে এ দিন তাঁকে শ্রীরামপুরে আনা হয়। সূত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে।

অভিযুক্ত যুবককে আত্মগোপন করে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় হাইকোর্টের এক মুহুরির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে। হাইকোর্টের আইনজীবী দীপ্তব্রত বটব্যালের অভিযোগ, ‘‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পু‌লিশ মুহুরির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। ভিত্তিহীন এই অভিযোগ প্রত্যাহার করা না হলে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’’

চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এবং হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud Case Arrested Main Accused Missing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE