প্রতীকী ছবি।
শুধু উত্তর হাওড়ায় আর নয়, এ বার ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে গোটা শহর জুড়েই। যার জেরে ঘুম উড়ে গিয়েছে হাওড়া পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। ওই দফতরের দেওয়া তথ্যই বলছে, গোটা জেলার মধ্যে হাওড়া পুরসভা এলাকাতেই ডেঙ্গির প্রকোপ সব চেয়ে মারাত্মক আকার নিয়েছে। জেলায় ডেঙ্গি রোগীর মোট সংখ্যা ৮২৯, যার মধ্যে শুধু হাওড়া পুরসভা এলাকাতেই সংখ্যাটা সরকারি ভাবে ৭০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ধরলে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুজো মণ্ডপের চার দিকে যাতে কোনও ভাবেই জল না জমে, সে ব্যাপারে ক্লাবগুলিকে সচেতন করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর একযোগে কাজ শুরু করেছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
অক্টোবরে সাধারণত মশার প্রজনন বাড়ে। তাই পুজোর সময়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। উত্তর হাওড়ার ১১, ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আগেই ডেঙ্গি ছড়িয়েছিল। এখন হাওড়ার অন্যান্য এলাকা থেকেও প্রতিদিন সংক্রমণের খবর আসছে। অধিকাংশ ওয়ার্ডেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গি। এ বিষয়ে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বললেন, ‘‘গত মাসেও পুরসভার ১১, ১২ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি ছিল। কিন্তু এখন প্রায় সব ওয়ার্ডেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সারা জেলার ডেঙ্গি আক্রান্তের ৮৩ শতাংশই হাওড়া পুর এলাকার বাসিন্দা।’’ তিনি জানান, ডেঙ্গির মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা একযোগে কাজ করছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ডেঙ্গির জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত হয় মূলত গরমে। এত বৃষ্টির পরেও গরম না কমায় এ বছর ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে সব থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতেই মশার প্রজনন সব থেকে বেশি হয়। বিভিন্ন ছোটখাটো পাত্র বা পুজো মণ্ডপের ত্রিপলের ভিতরে জল জমে যায়। সেখানে মশা ডিম পাড়ে। পুজোকর্তাদের তাই এ দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।’’ হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ছ’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগ খোলা হয়েছে। পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত একাধিক দল শহরের বিভিন্ন জায়গায় দিনভর কাজ করছে। মশা মারতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘পুজোর সময়ে এবং পুজোর পরে বাঁশের জন্য খোঁড়া গর্ত ও বাঁশের ফাঁপা অংশে জল জমে তাতে মশা জন্মায়। তাই পুজোর কর্মকর্তাদের ওই গর্ত বালি দিয়ে বুজিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy