ছবি: সংগৃহীত।
ধান কাটা এবং আলু বসানোর মরসুম। দিন কুড়ি রক্তদান শিবিরের ভাটা যাচ্ছে। দু’একটি শিবির হলেও রক্তদাতার সংখ্যা কম। মঙ্গলবার কোনও মতে সামাল দেওয়া গেলেও বুধবার আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত মজুত ছিল মাত্র ৮২ ইউনিট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিশেষ উৎকন্ঠা ছিল থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য দ্রুত রক্ত পাওয়া নিয়ে। সেই সঙ্কট কাটাতে মহকুমার ‘১০২’ অ্যাম্বুল্যান্স তথা মাতৃযান-চালক এবং তাঁদের সহকারীরা এ দিন রক্ত দিলেন।
ওই অ্যাম্বুল্যান্স-চালকদের পক্ষে আরামবাগ মহকুমা কো-অর্ডিনেটর সঞ্জীব হেলা বলেন, “ব্লাডব্যাঙ্কের সঙ্কট এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীদের কথা ভেবে হাসপাতাল সুপারের অনুরোধ আমরা সাগ্রহে গ্রহণ করি। কম সময়ের মধ্যে বেশি জনকে না পেলেও আমরা ৩০ জন রক্ত দিয়েছি। ভাল লাগছে।” থ্যালাসেমিয়া শিশুদের জন্য রক্ত দিতে পেরে নিজেদের খুশি হওয়ার কথা জানালেন আরও অনেক অ্যাম্বুল্যান্স-চালক এবং তাঁদের সহকারীরা।
হাসপাতাল সুপার শিশির নস্কর বলেন, “ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট চলছে। ধান কাটা, আলু বসানোর সময়ে রক্তদান শিবিরগুলোতে রক্তদাতাদের বিশেষ সাড়া মিলছে না। আজকের ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সের পক্ষে ৩০ ইউনিট রক্ত মিলেছে। এখানে চাহিদার তুলনায় রক্তের জোগান খুব কম।”
মহকুমা ব্লাডব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমা হাসপাতাল বা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৮০ ইউনিট রক্ত লাগে। মহকুমা হাসপাতাল এবং সংলগ্ন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগীরা ছাড়াও ওই ব্লাডব্যাঙ্কের উপর মহকুমার প্রায় ৫০টি নার্সিংহোম নির্ভরশীল। তা ছাড়াও তারকেশ্বর, বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংলগ্ন এলাকার নার্সিংহোমগুলিও রক্ত নিতে আসে। শুধু আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালেই প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন থ্যালাসেমিয়া রোগী রক্তের জন্য ভর্তি হয়। অতীতে নিয়মিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হওয়ায় হাসপাতালে প্রতিদিন রক্ত মজুত থাকত ৪০০ থেকে ৪৫০ ইউনিট। এখন ২০০ ব্যাগও মজুত থাকে না। মাঝেমধ্যে রক্ত বাড়ন্তও হয়ে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সুপার জানান, ব্লাডব্যাঙ্কের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন ক্লাব, পঞ্চায়েত, থানা এবং পুরসভাতেও রক্তদানের আবেদন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy