প্রতীকী চিত্র
কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গোঘাটের ডুমুরিয়া গ্রামের একটি খোলা মাঠে খড়ের গাদায় চাদরমুড়ি দিয়ে পড়েছিলেন আহত এবং অসুস্থ এক বৃদ্ধ। তা শুনে শনিবার সকালে তাঁকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলেন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হল।
বিধায়কের এই তৎপরতায় এলাকার মানুষ খুশি। বিধায়ক বলেন, “সাধারণ কর্তব্য করেছি। এলাকার মানুষকে ধন্যবাদ, তাঁরা কোনও দ্বিধা না করে খবর দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধির উপর আস্থা রেখেছেন। প্রশাসনের উপরেও যাতে তাঁদের আস্থা থাকে সেটাও বিভিন্ন দফতরকে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করছি।” বিধায়কের নির্দেশমতো তাঁর দলের কর্মীরা এ দিন বৃদ্ধের পোশাকেরও ব্যবস্থা করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধের কোমরে চোট রয়েছে। তিনি কিছুটা অসংলগ্ন কথা বলছেন। চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গোঘাটের ভিকদাস থেকে শ্যাওড়া যাওয়ার পথে ওই মাঠ থেকে গোঙানির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়েরা ওই বৃদ্ধকে দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। বিধায়ককেও ফোন করেন তাঁরা। বিধায়ক বৃদ্ধকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশের অবশ্য দাবি, খবর পাওয়া মাত্রই তারা রওনা দিয়েছিল।
বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধ ভিকদাস বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পোড়ো বাড়িতে মাস পাঁচেক ধরে বসবাস করছেন। স্থানীয়েরা জানান, কখনও ভিক্ষা, কখনও কারও জমিতে চাষের কাজ করে দিন কাটান ওই বৃদ্ধ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধ জানিয়েছেন, তাঁর নাম শচীন মণ্ডল। আদি বাড়ি বাংলাদেশের এনায়েতপুর। বছর চল্লিশ আগে সেখান থেকে চলে আসেন। এখানে তাঁর কোনও আত্মীয় বা নিজের স্থায়ী ঠিকানা আছে কিনা, তা তিনি বলতে পারেননি। তবে জানিয়েছেন, দিন পাঁচেক আগে একটি গাড়ির ধাক্কায় তাঁর কোমরে চোট লাগে। তারপর থেকে তাঁকে ভিকদাস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়নি বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy