Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভর্তি-চক্রে আরও নাম

উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজে ভর্তি-চক্রের তদন্তে নেমে আরও নাম পেল পুলিশ। ওই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ধৃত দু’জনকে বুধবার শ্রীরামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মৃণালকান্তি মণ্ডলের এজলাসে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারিকে ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এবং বিজেপির বিক্ষোভে সরগরম হয়ে ওঠে আদালত চত্বর।

চাপান-উতোর: আদালতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। ছবি: দীপঙ্কর দে

চাপান-উতোর: আদালতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। ছবি: দীপঙ্কর দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৭:৪০
Share: Save:

উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজে ভর্তি-চক্রের তদন্তে নেমে আরও নাম পেল পুলিশ। ওই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ধৃত দু’জনকে বুধবার শ্রীরামপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মৃণালকান্তি মণ্ডলের এজলাসে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারিকে ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এবং বিজেপির বিক্ষোভে সরগরম হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। মঙ্গলবার থেকেই অবশ্য শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক কাজিয়া।

চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা আরও কয়েকটি নাম পেয়েছি। যারা উত্তরপাড়া কলেজে টাকা তোলার চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের খোঁজ চলছে।’’

মঙ্গলবার সকালে কলেজের ভিতর থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জু সিংহ ও শুভ্র অধিকারী নামে ওই দু’জনকে। সঞ্জু ওই কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সঞ্জু বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত। শুভ্র এ বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। ভর্তিতে টাকা তোলার নির্দিষ্ট অভিযোগেই এই গ্রেফতারি বলে পুলিশের দাবি। সঞ্জু এবং বিজেপির প্রথম থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ধৃতদের আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। তার অনেক আগে থেকেই টিএমসিপি সমর্থকেরা আদালত চত্বরে ভিড় জমান। ধৃতেরা পৌঁছতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। ধৃতদের গাড়ি থেকে নামাতে বেগ হিমসিম খায় পুলিশ।

টিএমসিপি সমর্থকেরা বেরিয়ে যেতেই বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দলীয় সমর্থকেরা কয়েকটি মোটরবাইকে চড়ে সেখানে আসেন। সঞ্জুকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। কৃষ্ণাদেবী বলেন, ‘‘সঞ্জু কিছুদিন আগে আমাদের দলে যোগ দেয়। এবিভিপি-র সঙ্গেও ওঁর যোগাযোগ রয়েছে। উত্তরপাড়া কলেজে সঞ্জু এবিভিপি-র শাখা খুলতে পারে, এই আশঙ্কাতে ওঁকে ফাঁসানো হল। ও টাকা নেওয়ার সঙ্গে আদৌ যুক্ত নয়।’’ প্রায় একই দাবি সঞ্জুর মা ঝর্নাদেবীরও। তিনিও বলেন, ‘‘ছেলেকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হল।’’ প্যারীমোহন কলেজের টিএমসিপি সম্পাদক সন্দীপন নাথ অবশ্য এই অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওঁকে ধরেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

College Admission College Extortion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE