দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ বার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চণ্ডীতলা-২ ব্লকের জনাই পঞ্চায়েতের প্রধান হাবিবা বেগমের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন সিপিএম সদস্যেরা। তিনি সিপিএমের টিকিটেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে দল তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
উপপ্রধান প্রভাত চট্টোপাধ্যায়-সহ সিপিএমের ৬ সদস্যের সই করা অনাস্থা প্রস্তাব বুধবার জমা দেওয়া হয় বিডিও সিদ্ধার্থ গুঁইনের কাছে। বিডিও বলেন, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব পেয়েছি। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘অনেক দিন ধরেই ওঁরা আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছেন। আসলে আমার জন্য ওঁদের অনৈতিক কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই আমাকে সরাতে উঠেপড়ে লাগেন। আমি দুর্নীতি করে থাকলে প্রশাসন প্রমাণ করুক।’’
ওই পঞ্চায়েতের আসনসংখ্যা ১২। গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ৭টি আসনে জেতে। পাঁচটি দখল করে তৃণমূল। সিপিএম বোর্ড গঠন করে। প্রধান হন হাবিবা বেগম। কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই নানা বিষয়ে দলীয় সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় প্রশাসনের কাছে।
সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বছর দু’য়েক আগে দলীয় সদস্যদের তরফে প্রধানের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। ফলে প্রধান আর এই দলের সদস্য হিসেবে বিবেচিত নন। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হতো। কিন্তু নির্বাচনের পরে আড়াই বছর না পেরোলে অনাস্থা আনা যায় না। পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য তথা দলনেতা রজতাভ রায় বলেন, ‘‘টাকা নিয়ে বেআইনি নির্মাণে মদত দেওয়া, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা-সহ নানা কাজে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন প্রধান। সম্প্রতি সরকারি গাছ বিক্রি করেছেন বেআইনি ভাবে। প্রধানের দুর্নীতির ফল ভোগ করতে হচ্ছিল গ্রামবাসীদের। ওঁর অপসারণের জন্য অন্য দলের কাছেও আবেদন করছি।’’ ব্লকের এক তৃণমূল নেতা জানান, অনাস্থায় ভোটাভুটি হলে তাঁদের দলের অবস্থান কী হবে, তা আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy