ফাইল ছবি।
মাঝরাতে হুলুস্থুল চন্দননগর হাসপাতাল। জরুরি বিভাগ থেকে নিখোঁজ এক রোগীর দেখা মিলল তিনতলার কার্নিসে। তাঁকে নামিয়ে আনতে খবর গেল দমকলে। তত ক্ষণে শয্যা ছেড়ে ঘরের জানলায় এসে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ ভদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা বছর আঠাশের রাকেশ পাসোয়ানকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলে তাঁর বাবা, দাদা। তাঁদের দাবি, গত প্রায় এক মাস ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন রাকেশ। ওই রাতে ঘুমের মধ্যে হাত পা ছুঁড়তে শুরু করেনি তিনি। শরীর খারাপ লাগছে ভেবে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। দাদা রাজেশ জানান, জরুরি বিভাগে দেখানোর পর রাকেশকে বসিয়ে তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এর মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হাসপাতালের এক কর্মী শুনতে পান অন্ধকারে হাসপাতালের কার্নিসে কে যেন গান গাইছে। বোঝা যায়, রাকেশ শৌচাগারের পাইপ বেয়ে উঠে পড়েছেন তিনতলার কার্নিসে। অনুরোধে নেমে আসতে নারাজ তিনি।
বাধ্য হয়েই পুলিশ আর দমকলে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরও প্রায় ১ ঘণ্টাক চেষ্টায় দমকল কর্মীরা উদ্ধার করে আনেন রাকেশকে। রাজেশ বলেন, ‘‘আগে খুব একটা অস্বাভাবিক ছিল না ভাই। ইদানীং সমস্যা হচ্ছিল। এর পর তো মনে হচ্ছে মানসিক চিকিৎসাই করতে হবে।’’
হাসপাতালের সুপার জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘এমন অভিজ্ঞতা এর আগে হয়নি। আমাদের হাসপাতালে মানসিক রোগ বিভাগ নেই। ফলে ওঁকে অন্যত্রই চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে হবে। পরিবারকে তেমনই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy