Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টাকা উধাও, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ঘেরাও

পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, যে গ্রাহকের টাকা উঠে গিয়েছিল তাঁর নাম মঞ্জুরা বেগম। তিনি গুমুখবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বেলা আড়াইটা নাগাদ তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে দুটি দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২৩ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। প্রথমে তোলা হয় ৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় তোলা হয় ১৫ হাজার। 

বিক্ষোভ: ব্যাঙ্কে তালা গ্রামবাসীর। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: ব্যাঙ্কে তালা গ্রামবাসীর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩১
Share: Save:

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার বাধল উলুবেড়িয়ার ধুলাসিমলায়। ঘটনার তদন্ত চেয়ে ও ম্যানেজারের শাস্তির দাবিতে ব্যাঙ্কের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড অবরোধও করা হয়।

পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, যে গ্রাহকের টাকা উঠে গিয়েছিল তাঁর নাম মঞ্জুরা বেগম। তিনি গুমুখবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বেলা আড়াইটা নাগাদ তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে দুটি দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২৩ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। প্রথমে তোলা হয় ৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় তোলা হয় ১৫ হাজার।

মঞ্জুরার কথায়, ‘‘মেসেজ দেখে অবাক হয়ে যাই। কারণ আমার এটিএম কার্ড নেই। আমি এ দিন ব্যাঙ্কেও যাইনি। তাহলে টাকা তুলল কে?’’ এরপরই বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ তিন পড়শিকে নিয়ে ব্যাঙ্কে যান মঞ্জুরা। তাঁর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে সমস্যার কথা বললেও তিনি মানতে চাননি।

মঞ্জুরার অভিযোগ, ‘‘সব দোষ আমার ঘাড়েই চাপিয়ে দেন ম্যানেজার।’’ এরপর মঞ্জুরা বাইরে এসে চেঁচামেচি শুরু করেন। গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁর চিৎকার শুনে এসে ব্যাঙ্কের দরজায় তালা মেরে দেন। চলে রাস্তা অবরোধ।

কিছুক্ষণ পরে ম্যানেজার মঞ্জুরা এবং তাঁর স্বামীকে ভিতরে ডাকেন। এমনকী তাঁর ওই অ্যাকাউন্টে ২৩ হাজার টাকা দিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এতে বিক্ষোভ বাড়ে।

গ্রামবাসী আজিজুর রহমানের অভিযোগ, ‘‘অন্য কেউ যদি টাকা তোলেন তাহলে ম্যানেজার কেন তা দেবেন?’’ ঘটনার সঙ্গে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জড়িত অভিযোগ তুলে তাঁর শাস্তির দাবিতে ফের শুরু হয় অবরোধ।

খবর পেয়ে আসে পুলিশ। মঞ্জুরা থানায় ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিেল বিকেল পাঁচটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। ঘেরাও মুক্ত হন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার।

ব্যাঙ্ক ম্যানেজার প্রদীপকুমার সরেন বলেন, ‘‘কোথাও একটা গোলমাল হচ্ছে। আমরা সিসিটিভি খতিয়ে দেখছি। এছাড়া তদন্ত করে দেখা হবে কী ভাবে ওই মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।’’ তাহলে তাড়াহুড়ো করে মঞ্জুরার অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হল কেন? ম্যানেজারের উত্তর, ‘‘মানবিকতার খাতিরে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Protest Bank Manager
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE