—ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনায় মৃত এক ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্ত না করিয়ে জোর করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন পরিজনেরা। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় এক চিকিৎসক ও এক কর্মীকে। ভাঙচুরও করা হয় হাসপাতালে। পরে মৃতের ছয় পরিজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর নিমতা থানা এলাকার শ্রীনগরে কোনও গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন জয়প্রকাশ গুপ্ত (৪৬)। প্রতিবেশী-আত্মীয়েরা তাঁকে নিয়ে আসেন উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেলে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে জয়প্রকাশের। অভিযোগ, তারপরেই দেহ রেখে চলে যান সঙ্গীরা। চিকিৎসকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও দেখা মেলেনি কারও।
সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রায় দেড়ঘণ্টা পরে ফিরে এসে মর্গের এক কর্মীকে মারধর করেন পরিবারের লোকজন। ময়নাতদন্ত করাতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। এরপর একটি অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে জোর করে দেহ বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। বাধা দিতে গেলে মার খান এক চিকিৎসকও। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটকানো যায়নি তাঁদের। পুলিশে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পরে অবশ্য উত্তরপাড়া স্টেশন লাগোয়া এক নার্সিংহোম থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ছ’জনকে। ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জয়প্রকাশ মৃত কিনা তা নিশ্চিত করতেই তাঁরা নার্সিংহোমে এসেছিলেন। জয়প্রকাশের এক সঙ্গী এ দিন বলেন, ‘‘দেহের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না, রক্তও বেরোয়নি। আমাদের মনে হয় ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে, মারা যায়নি।’’
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘হাসপাতাল ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy