রোহিত কর্মকার। ফাইল চিত্র
একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে পুকুরে ডুবিয়ে মারার অভিযোগে তার সহপাঠীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আটক করা হয়েছে আর এক সহপাঠীকে।
শুক্রবার সকালে হুগলির চণ্ডীতলার গরলগাছার বাসিন্দা রোহিত কর্মকার (১৭) নামে ওই ছাত্রটি দুই সহপাঠীর সঙ্গে পুকুরে মাছ ধরতে যায়। পুকুরটি গরলগাছাতেই রোহিতের এক সহপাঠীর বাড়ির পিছনে। দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই সহপাঠী রোহিতের বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়, সে জলে ডুবে গিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাড়ির লোকেরা চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতলে গিয়ে দেখেন, রোহিত মারা গিয়েছে। পুলিশ প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। শনিবার রোহিতের পরিবারের লোকেরা তার দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার বিকেলে অভিযুক্তদের এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে সকালে ওই অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীদের একাংশ।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নাবালক হওয়ায় ধৃতকে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হবে। অপর অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোহিতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মোবাইলের ভিডিও ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ
স্পষ্ট হবে।’’
কিন্তু কেন উঠছে খুনের অভিযোগ?
রোহিতের পরিবারের লোকজন মনে করছেন, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই হত্যা। তাঁরা জানান, এক সহপাঠিনীর সঙ্গে রোহিতের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অভিযুক্তদের একজনও মেয়েটিকে পছন্দ করে। এ নিয়ে তিন দিন আগে সে এবং এক বন্ধু রাস্তায় রোহিতকে শাসায় বলেও তাঁদের অভিযোগ। রোহিতের জ্যাঠতুতো দাদা সুদীপ্ত বলেন, ‘‘আমাদের মনে হচ্ছে, সেই কারণেই ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ যদিও এ নিয়ে থানায় কিছু জানাননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, শুক্রবার বিকেলে রোহিতের মোবাইলের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুকুরে সে স্নান করছে। অভিযুক্ত এক সহপাঠীও জলে নামে। তার পরে কিছুক্ষণ হাবুডুবু খাওয়ার পরিস্থিতি হয়। পাড়ে দাড়িয়ে অপর সহপাঠী ওই ছবি তুলছিল। ওই ভিডিও দেখেই তাঁদের ধারণা হয়, বন্ধুরাই রোহিতকে ডুবিয়ে মেরেছে।
ধৃতের জ্যাঠামশাইয়ের দাবি, পৈতৃক বাড়ি হলেও তাঁর ভাইপোরা গরলগাছায় কম আসে। তারা ডানকুনিতে থাকে। শুক্রবার তিনি ভাইপোদের পুকুরে হই-হুল্লোড় করতে দেখেছিলেন। পরে শোনেন, রোহিত মারা গিয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর খেদ, ‘‘এই ঘটনায় আমাদের কোনও যোগ নেই। অথচ আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy