মাইকে প্রচার ধনেখালিতে। ছবি: দীপঙ্কর দে।
গুজব মোকাবিলায় পথে নামল পুলিশ প্রশাসন। হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়াও।
ফের যাতে বলাগড়ের মতো হুগলির অন্য কোথাও অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য রবিবার থেকে প্রচার শুরু হয়েছে। লাগানো হচ্ছে পোস্টার। এমনকী, ‘ফেসবুক’-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি চালিয়ে বলাগড়-কাণ্ডে ১১ জনকে ধরে পুলিশ।
শেওড়াফুলিতে লিফলেট বিলি। নিজস্ব চিত্র।
কয়েক দিন ধরেই বলাগড়ে গুজব রটেছিল, ছেলে চুরি হচ্ছে। শনিবার রাতে সেই গুজবের জেরেই এক জনের বাড়ি যাওয়ার পথে জিরাট-আসানপুর গ্রামে আক্রান্ত হন কল্যাণীর স্কুলশিক্ষিকা অপর্ণা ঘোষ এবং তাঁর বৃদ্ধা মা রঞ্জুবালাদেবী। শিশুচোর সন্দেহে কিছু গ্রামবাসী তাঁদের মারধর করে। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের গাড়িতে। পুলিশকে লক্ষ করে ইট-তির ছোড়া হয়। কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হন। এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। রবিবার বিকেলে তা প্রত্যাহার করা হয়। গ্রামে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়। ধৃতদের এ দিনই চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ জনকে চার দিনের পুলিশ হেফাজত এবং ছ’জনকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ওই গুজবের উৎস জানতে তদন্ত চলছে। স্থানীয়েরা গুজব নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘গুজব রুখতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফের এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য প্রত্যেক থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’
গুজবের জেরে কেউ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেন, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। ধনেখালি, শ্রীরামপুর, শেওড়াফুলি, জাঙ্গিপাড়া, ডানকুনি-সহ বেশ কিছু থানা ‘ফেসবুক’-এর মাধ্যমেও গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। বাঁশবেড়িয়া এলাকায় পোস্টার সেঁটেছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy