Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
গ্রেফতার এক মহিলা

বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুকে উদ্ধার করল ডানকুনির পুলিশ

বিক্রি হয়ে যাওয়া একটি শিশুপুত্রকে বর্ধমানের জামুড়িয়া থেকে উদ্ধার করে করে আনল হুগলির ডানকুনি থানার পুলিশ। আইনবিরুদ্ধ ভাবে শিশুটিকে কেনার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস ছ’য়েক আগে নিজের বাবা শিশুটিকে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, একটি চক্রের মাধ্যমে ছেলেটিকে জামুরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন তাকে মায়ের হাতে তুলে দিল শ্রীরামপুর আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪১
Share: Save:

বিক্রি হয়ে যাওয়া একটি শিশুপুত্রকে বর্ধমানের জামুড়িয়া থেকে উদ্ধার করে করে আনল হুগলির ডানকুনি থানার পুলিশ। আইনবিরুদ্ধ ভাবে শিশুটিকে কেনার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস ছ’য়েক আগে নিজের বাবা শিশুটিকে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, একটি চক্রের মাধ্যমে ছেলেটিকে জামুরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন তাকে মায়ের হাতে তুলে দিল শ্রীরামপুর আদালত।

পুলিশ সূত্রের খবর, শিশুটির বাবা তোতন এবং মা প্রতিমা দাস ডানকুনিতে ভাড়া থাকেন। গত বছরের ৬ অক্টোবর চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। অভিযোগ, সদ্যোজাত ছেলেকে বিক্রি করে দেন তোতন। শিবু মাহাত নামে এক প্রতিবেশী এ নিয়ে ডানকুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। তোতনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, জেরায় তোতন জানায়, দক্ষিণেশ্বরের এক মহিলার হাতে তিনি ছেলেকে তুলে দিয়েছেন। এর পরে খোঁজখবর করে দীপা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা পুলিশ। মাস দু’য়েক আগে সুনীতা রজক নামে আরও এক মহিলাকে ধরা হয় দক্ষিণেশ্বর থেকেই।

মঙ্গলবার সূত্র মারফত পুলিশ খবর পায়, ছেলেটিকে জামুরিয়ায় বিক্রি করা হয়েছে। এর পরেই ডানকুনি থানার ওসি প্রদীপ দাঁ সেখানে পুলিশ পাঠান। জামুরিয়ার শিবডাঙা কোলিয়ারি আবাসনে শান্তি দাস নামে এক মহিলার কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ওই মহিলাই শিশুটিকে লালনপালন করছিলেন। আইনবিরুদ্ধে ভাবে শিশুটিকে কেনার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার ধৃত মহিলাকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। এসিজেএম নচিকেতা বেরা তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই আদালতের আইনজীবী লতিফ আলি মল্লিক জানান, বিচারকের নির্দেশে শিশুটিকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তোতন এবং প্রতিমা দু’জনেই আদালতে এসেছিলেন। তাঁদের কেউই অবশ্য কথা বলতে চাননি।

তোতন পুলিশের কাছে দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে নয় শিশুটিকে ভালভাবে পালন করার জন্যই এক মহিলার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। পুলিশ অবশ্য তোতনের সেই যুক্তি মানতে নারাজ। তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানান, বেশ কয়েকটি হাত ঘুরে বাচ্চাটিকে জামুরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিশ্চয়ই তা টাকার বিনিময়ে হয়নি। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) সুবিমল পাল বলেন, ‘‘ঠিক কী ভাবে শিশুটিকে জামুড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE