উত্তেজনা ঠেকাতে হাজির পুলিশ। আরামবাগে। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে হুগলির নানা জায়গায় অশান্তিও হচ্ছে। বুধবার রাতেও জেলার দু’প্রান্তে গোলমাল হল। দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে কোন্নগরে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আরামবাগে আবার মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সরকারি প্রকল্পের প্রচারের ফ্লেক্স-ফেস্টুন ছেঁড়া, তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
সব ক্ষেত্রেই পুলিশ সরেজমিনে তদন্তে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ অনুযায়ী প্রতিটি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাতে কোন্নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লিতে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে দেওয়াল লেখার কাজ করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, দুই নেতার মদতে তৃণমূলের কিছু লোক তাঁদের মারধর করে।
কোন্নগরে বিজেপি-র যুব মোর্চার সভাপতি অতনু সরকারের অভিযোগ, ‘‘আমাদের পুরনো দেওয়ালেই লেখা হচ্ছিল। ওরা তাতে বাধা দেয়। ঝামেলা এড়াতে দেওয়ালটি ছেড়ে দিলেও তৃণমূলের দুই নেতা আমাকে এবং দলের স্থানীয় আহ্বায়ককে মারধর, গালিগালাজ করে। পুলিশকে সব জানিয়েছি।’’
অভিযোগ উড়িয়ে কোন্নগরের পুর-প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অত রাতে দেওয়াল লেখায় বাড়ির মালিকই বিরক্ত হয়ে ওদের নিষেধ করেন। পাড়ার লোকজন বেরিয়ে পড়েন। আমাদের ছেলেরাও ছিল। তবে কেউ কাউকে মারধর করেননি। মিথ্যা অভিযোগ।’’
আরামবাগের গোলমাল হয় গৌরহাটি এলাকায়। গৌরহাটি-২ পঞ্চায়েত চত্বরে গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত নানা সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স, ফেস্টুন ভেঙে এবং ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এক কিলোমিটার দূরে গৌরহাটি বাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি পলাশ রায়ের অভিযোগ, ‘‘দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আমাদের দলের অনুকূলে ব্যাপক সাড়া মিলছে। সেটা বানচাল করতেই বিজেপি সন্ত্রাস চালিয়েছে। থানায় আভিযোগ করেছি।’’
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলের আর গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমাদের ছেলেরা হামলা করতে যাবে কেন! এই ঘটনা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। দিদি ও দাদার দলে ভাগ হওয়ার পরিণতি।’’
গৌরহাটি বাজারে সিপিএমের একটি কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয় ওই রাতে। কিছুটা তফাতে ডোঙ্গল মোড়ে তাদের কার্যালয়ের সামনে দলীয় পতাকা-ফেস্টুনও ছেঁড়া হয়। সিপিএম অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। সিপিএম নেতা পুর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে কারা এ সব দুষ্কর্ম করেছে, বোঝা মুশকিল। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy