নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ বলতে পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার হুগলি জেলাও একজন ‘চৌকিদার’ পেল। তিনি জেলা সভাধিপতি মেহেবুব রহমান!
সম্প্রতি সভাধিপতি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেকে ‘চৌকিদার’, ‘পাহারাদার’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। ফেসবুক-বন্ধুদের প্রতি তাঁর আর্জি, জেলার উন্নয়নে কারও কোনও সমস্যা বা পরিকল্পনা থাকলে তা যেন তাঁকে ওই অ্যাকাউন্টে জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী যে ‘বিশ্ববাংলা’র স্বপ্ন দেখেন, তিনি তাঁর একজন ‘সৈনিক’।
ফেসবুকে মেহেবুবের বন্ধুর সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। জেলার উন্নয়নে তিনি সোশ্যাল নিডিয়াকেও হাতিয়ার করতে চাইছেন। ফেসবুকে তিনি বলেছেন, ‘আমি দিদিমণির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) হুকুম তামিল করার লোক। আপনাদের প্রিয় বন্ধু।
তিনি যে অঙ্গীকার করেছেন— চৌকিদার, পাহারাদার, আমিও তাই। আমি একজন সাধারণ দারোয়ান। কিন্তু দিদিমণির অঙ্গীকারে আমি অটল...’।
জেলায় যাঁরা নিয়মিত ফেসবুক চর্চা করেন, মেহেবুবের এই বার্তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই ‘পোস্ট’-এ মেহবুব জেলাবাসীর পাশে সব সময় থাকার অঙ্গীকারও করেছেন। ওই ‘পোস্ট’ নিয়ে মেহবুব বলেন, ‘‘আমি বেশিদিন রাজনীতি করছি না। অত মারপ্যাঁচ বুঝি না। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের সুবিধা এবং জেলার উন্নয়ন দেখা আমার কাজ। তাই ওই আর্জি জানিয়েছি।’’
বিরোধীরা অবশ্য এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। তাঁরা মনে করছেন, নভেম্বর শেষ হলেও শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এ বার এখনও জেলা পরিষদ গঠন হয়নি। ফলে, উন্নয়নের কাজ শিকেয় উঠেছে। সাধারণ মানুষ শাসকদলের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ। সেই বিরুদ্ধ পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে আনতেই সভাধিপতি সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিয়েছেন।
বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল বলেন, ‘‘সভাধিপতিকে হঠাৎ এত ঢাক পেটাতে হচ্ছে কেন? এখনও কাজ শুরু করতে পারেননি। নিশ্চয়ই দিদিমণির বকুনির ভয় পাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy