ভেল্কি: অলৌকিক নয়, বিজ্ঞান। চলছে প্রচার। নিজস্ব চিত্র
সম্প্রতি হুগলির বলাগড় ব্লকের ডুমুরদহে সর্পদষ্ট এক কিশোরীকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও নবম শ্রেণির ছাত্রীটি বাঁচেনি। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওঝার কেরামতির বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়াতে প্রচার করল পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হুগলি জেলা শাখা। বুজরুকির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে যে বিভ্রান্ত করা হয়, হাতেকলমে তা দেখানো হল।
শনিবার সন্ধ্যায় ডুমুরদহ স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় ওই শিবিরে শ’দেড়েক মানুষ হাজির হন। কী ভাবে দেশলাই ব্যবহার না-করে আগুন জ্বালিয়ে ‘মন্ত্রবলের তত্ত্ব’ আওড়ান ওঝা, কী ভাবে সিরিঞ্জ দিয়ে বেগুনের মধ্যে আলতা ভরে তা কাটার পরে রক্ত বলে চিহ্নিত করা হয় বা আটার গোলার মধ্যে থার্মোকল ঢুকিয়ে জলে ভাসিয়ে কাউকে ‘ডাইনি’ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হয়, সে সবই করে দেখান সংগঠনের সদস্যরা। বিষধর এবং বিষহীন সাপ চেনার উপায়, দংশনের বিশেষত্ব— এ সব ব্যাপারেও গ্রামবাসীদের অবহিত করা হয়। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রেখে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো-সহ নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।
মঞ্চের সদস্য, স্কুলশিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘বছর দশেক আগে পোলবায় সর্পদষ্ট একটি ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে মনসা মন্দিরে ফেলে রাখা হয়েছিল। ছেলেটি মারা যায়। ঘটনাটি নাড়া দিয়ে গিয়েছিল আমাকে। সাপে ছোবল দিলে আগে যেন সর্পদষ্টকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই ব্যাপারটাই বুঝিয়ে বলেছি।’’
অজয় বারিক নামে আর এক সদস্য বলেন, ‘‘ডুমুরদহ এবং সংলগ্ন অনেক জায়গাতেই ওঝার কাছে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।’’ শিবিরের অনেকেই স্বীকার করেছেন, ওঝাদের কারসাজিতে অনেক ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy