Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিধায়কের সঙ্গে দলবল, গ্রাম সফরে প্রশ্ন থাকছেই

শুক্রবার বিকেলে মানসবাবু দলীয় নেতা তথা গোঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল-সহ কয়েকজনকে নিয়ে বালি অঞ্চলের কলাগাছিয়া, দামোদরপুর এবং শ্যামবল্লভপুর গ্রামে যান।

 জনসংযোগ: শ্যামবল্লভপুর গ্রামে বিধায়ক মানস মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র

জনসংযোগ: শ্যামবল্লভপুর গ্রামে বিধায়ক মানস মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০১
Share: Save:

নেত্রীর নির্দেশ। সদলবলে জনসংযোগে বেরিয়েছেন তৃণমূল বিধায়কেরা। শুরু হয়েছে গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাসও। কিন্তু গ্রামবাসী কি নিশ্চিন্তে তাঁর ক্ষোভের কথা জানাতে পারছেন? গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদারের গ্রাম-সফর সেই প্রশ্নই তুলে দিল।

শুক্রবার বিকেলে মানসবাবু দলীয় নেতা তথা গোঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল-সহ কয়েকজনকে নিয়ে বালি অঞ্চলের কলাগাছিয়া, দামোদরপুর এবং শ্যামবল্লভপুর গ্রামে যান। রাত ১১টা পর্যন্ত গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে শ্যামবল্লভপুরে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত কাটান। ফের শনিবার সকালে শ্যামল্লভপুরের বিভিন্ন পাড়ায় মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনেন।

কী অভিযোগ?

কেউ শোনালেন আবাস যোজনায় ঘর না-পাওয়ার কথা, কেউ দু’টাকা কেজির চালের অভাবের কথা, কারও সমস্যা বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা না-পাওয়া। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, বিদ্যুৎ পরিষেবায় ঘাটতি, জলা সংস্কারের দাবিও উঠল। আর? আর সবিস্তারে যেতে সাহস পাননি অনেকেই। নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে যেটুকু মুখ খুলেছেন তাঁরা, তাতেও আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন।

কলাগাছিয়ার ব্যবসায়ী সিদ্ধার্থ ঘোষ বলেন, “বিধায়ক তাঁদের দলের কোথায় ঘাটতি, তা নির্ভয়ে বলতে বলেছিলেন। বলেছি, দলের অনেকগুলো গোষ্ঠীর নেতার দ্বন্দ্বে গ্রাম সবসময় অশান্ত এবং আতঙ্কে থাকে। এলাকার নেতারা কাছাকাছি থাকায় এর বেশি কিছু বলতে পারিনি। জানি না, এর জন্য আবার কিছু হবে কিনা!’’ আর এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘যার নামে বলব, সে-ই তো দেখলাম বিধায়কের পাশে। কোন সাহসে সব অভিযোগ জানাব?’’

এ নিয়ে বিধায়ক পরে বলেন, ‘‘অনেকেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নেতাদের অযাচিত খবরদারির কথা বলেছেন। দুর্নীতিরও অনেক অভিযোগ পেয়েছি। সব বিষয়গুলি রাজ্যস্তরে জানিয়ে সমাধানের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছি।’’

জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী শুক্রবার শিয়াখালা মৌজায় ঘোরেন। তিনিও নানা সমস্যার কথা শোনেন। এক সিপিএম নেতার বাড়িতেও যান। দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত্রিবাস। তারপরে শনিবার সকালে দলের স্থানীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করে ফেরা। এ দিন সকালে জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Didike Bolo MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE