Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

১০ বছর ধরে রেলিং ভাঙাই

নদের জল আর বাসের যাত্রী কম থাকায় সে যাত্রা এড়ানো গিয়েছিল বড় বিপদ, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু ডিভিসির সেতুর সেই ভাঙা রেলিং আর মেরামত করতে আসেননি কেউ

বিপজ্জনক: ভেঙে পড়েছে সেতুর রেলিং। একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। হুঁশ নেই প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র

বিপজ্জনক: ভেঙে পড়েছে সেতুর রেলিং। একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। হুঁশ নেই প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র

সুশান্ত সরকার
পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:১৯
Share: Save:

দশ বছর আগে সেতুর রেলিং ভেঙে দামোদরে পড়ে গিয়েছিল একটি বাস। নদের জল আর বাসের যাত্রী কম থাকায় সে যাত্রা এড়ানো গিয়েছিল বড় বিপদ, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু ডিভিসির সেতুর সেই ভাঙা রেলিং আর মেরামত করতে আসেননি কেউ।

সরকারি ভাবে এখন সে সেতু ‘দুর্বল’। ঝোলানো নোটিস অনুযায়ী সেখানে ৮ টনের বেশি ভারী পণ্যবাহী গাড়ি ওঠা নিষেধ। কিন্তু সে নিষেধ মানে কে? আর নজরই বা রাখে কে!

হুগলি আর পূর্ব বর্ধমান জেলার সংযোগ স্থলে ডিভিসি সেতুর অবস্থান। হুগলির পান্ডুয়া আর বলাগড় ব্লকের মাঝে কল্যাণশ্রী ও মুকটুকরি গ্রামের উপর সেতু তৈরি হয়েছিল বছর ৩৫ আগে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য পূর্ত দফতরের। বহু গাড়ি, বাস, পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু সেতু সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণে তেমন নজর নেই বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে পান্ডুয়া ও বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতি যৌথ ভাবে সমীক্ষা করেছিল। কিন্তু সংস্কারের কাজ হয়নি। জেলার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দফতর থেকে একটি সর্তকীকরণ বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিভিসি সেতুকে ‘দুর্বল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৮ টন।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই আট টন মাপবে কে? প্রায় প্রতিদিনই অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচল করে। রেলিং ভাঙা। নেই আলোর ব্যবস্থা। রাতের অন্ধকারে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

সম্প্রতি কলকাতায় মাঝেরহাট সেতুতে দুর্ঘটনার পর বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতি তড়িঘড়ি চিঠি দিয়েছে পূর্ত দফতরের কাছে। এতদিন কেন নজর দেয়নি পঞ্চায়েত সমিতি? সমিতির সভাপতি পায়েল পাল বলেন, ‘‘এর আগেও দু’বার আমরা চিঠি দিয়েছি। এ বারের দুর্ঘটনার পর জেলা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’’

বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি বলেন, ‘‘প্রায় দশ বছর ধরেই সেতু বেহাল। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে সেতু সংস্কার হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হুগলির ইঞ্জিনিয়াররা।

সাব অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুভাষ বসাক বলেন, ‘‘কল্যাণশ্রী ও মুকটুকরি সেতুর পরিদর্শন করে মাপঝোক হয়েছে চলতি বছরেই। টেন্ডারও হয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bridge Panduya Administration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE