মহাযাত্রা: আজ রথযাত্রা। রশিতে টানের অপেক্ষা। নিজস্ব চিত্র
শ্রীরামপুরে মাহেশের রথ, গুপ্তিপাড়ার রথের পাশাপাশি চন্দননগরের রথের ঐতিহ্যও কিছু কম নয়। আনুমানিক ২৫০ বছরের পুরনো এই রথ।
তৎকালীন চাল ব্যবসায়ী যাদুগেন্দু ঘোষ পুরীর রথ দেখতে যেতে না পেরে এই রথটি তৈরি করে পূজো করতে শুরু করেন। প্রথমে কাঠের রথ তৈরী করেছিলেন। পরে তা ভেঙে পড়ায় ১৯৬২ সালে ভদ্রেশ্বরের ব্রেথওয়েট কোম্পানি লোহার রথ তৈরি করে। ৪০ ফুট উচ্চতা এবং ২২ ফুট চওড়া এই রথে ১৪ টি চাকা রয়েছে। এক একটি চাকার ওজন প্রায় ১ টন। রথের মাথায় রয়েছে ৯টি পিতলের চূড়া। সকাল থেকেই চলবে পুজো।
গঞ্জের মোড় থেকে জিটি রোড ধরে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিন টানে রথ পৌছবে চন্দননগরের তালডাঙা মোড়ে। সেখানেই সাতদিন থাকবে রথ।
এই রথ ঘিরে বসে মেলা। শুধু চন্দননগরের বাসিন্দারা নন। চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানি এলাকার মানুষ ভিড় জমান চন্দননগরের জিটি রোডে। রথের দড়িতে একটু টান দিতে সব বয়সের মানুষ হাজির হন। বৃদ্ধ বৃদ্ধারা রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা থাকে। রথের দড়ি স্পর্শ করতে উপচে পড়ে ভিড়।
পুলিশ জানিয়েছে, যাতে কোন রকমের অশান্তি না হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বার রথের সময় নজরদারি চালাতে ৪৫০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাজির থাকবেন চার ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার, চার ইনেস্পক্টর, ৬০ জন অফিসাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy