নজরদারি: বাজার পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
একটাও অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডার নেই। ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও দমকলের ছাড়পত্র একজনও দেখাতে পারলেন না। বিদ্যুৎ সংযোগের ওয়ারিং-সহ দমকলের কোনও সুপারিশই কার্যকর হয়নি। দাহ্য দ্রব্যের কাছেই রান্না হচ্ছে। শনিবার দুপুরে আরামবাগ শহরের সুপার মার্কেটগুলোতে অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়ে এমন নানা অসঙ্গতির সাক্ষী থাকলেন মহকুমাশাসক লক্ষ্মীভব্য তানিরু। আর দমকলের আরামবাগ দফতরের আধিকারিক সুব্রতকুমার দাসের স্বীকারোক্তি, ‘‘জতুগৃহ হয়ে আছে শহরের মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি।”
শনিবার আরামবাগের বাসস্ট্যান্ডে ‘বিজয় মোদক সুপার মার্কেট’ এবং পি সি সেন রোডে ‘বি কে রায় সুপার মার্কেট’ ঘুরে দেখা হয়। মার্কেটের নীচের তলা পুরসভা তদারকি করে। আর বাকি উপরের তিন তলা ভবন নির্মাণকারীর কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তদারকিও করেন তাঁরাই।
বিজয় মোদক সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজীব লাগার জানান, তাঁদের কারও দমকলে ছাড়পত্র নেই। তাঁর অভিযোগ, “পুরসভার পক্ষ থেকে ঠিকাদার দিয়ে ভবনটি বানিয়ে ব্যবসায়ীদের সব ঘর বিক্রি করা হয়েছে। নিচের তলা এবং ছাদটি শুধু পুরসভার অধীনে। এত বড় ভবনে বিদ্যুতের লাইন মেরামত সম্ভব নয়। পুরসভাই এই মার্কেটের সব দায়িত্ব নিক।’’
শুধু বিজয় মোদক সুপার মার্কেট বা বি কে রায় সুপার মার্কেটই নয়, অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন নজরুল মার্কেট, সুকান্ত মার্কেট, হাসপাতাল রোডের উপর পৌরসভা সুপার মার্কেট, বসন্তপুরের মিনি মার্কেট এবং সদরঘাটে ব্যক্তিমালিকানাধীন পুরনো বাজারেরও। সব বাজারের ভিতরেই স্টোভ বা গ্যাস জ্বালিয়ে চা ও রান্না হয়। মিটার ঘরগুলিতেও বিপজ্জনক অবস্থায় জড়ানো তার। জলের ব্যবস্থা বলতে শৌচাগার বা পানীয় জলের সরু পাইপের ট্যাপ কল। আগুন লাগলে দমকল বাহিনীর ফিতে পাইপ সব জায়গায় পৌঁছতেই পারবে না।
মহকুমাশাসক বলেন, “সোমবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে দমকলের সুপারিশ মেনে অগ্নি সুরক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে। তারপর কোনও অসঙ্গতি দেখা গেল আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ দিন দমকলের আধিকারিক, মহকুমাশাসক ছাড়াও পরিদর্শক দলে ছিলেন পুরপ্রধান স্বপন নন্দী, এসডিপিও কৃশানু রায় –সহ আরও অনেকে। স্বপনবাবু বলেন, “দমকলের নির্দিষ্ট ছাড়পত্র নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বলা হয়েছে। মহকুমাশাসকের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে এ সব ব্যবস্থা না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy