Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বইমেলার মঞ্চে চক্ষুদানের বার্তা

বইমেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, মোট ৪২টি স্টল রয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে পরিবেশ দূষণ রোধে বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বইপোকা: শ্রীরামপুর বইমেলায় ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

বইপোকা: শ্রীরামপুর বইমেলায় ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৮
Share: Save:

বইয়ের দোকানে ভিড় খুদে-প্রবীণ সকলের। পাশাপাশি সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্যও প্রস্তুত মঞ্চ। দুইয়ে মিলে জমজমাট সপ্তম বর্ষের শ্রীরামপুর বইমেলা। স্টেশন সংলগ্ন গাঁধী ময়দানে পুরসভার পরিচালনায় মেলা শুরু হয়েছে গত ৫ জানুয়ারি থেকে। চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বইমেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, মোট ৪২টি স্টল রয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে পরিবেশ দূষণ রোধে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে প্রচার চলছে শ্রীরামপুর সেবাকেন্দ্র ও চক্ষুব্যাঙ্কের স্টলে। মরণোত্তর চক্ষুদান বা দেহদানের অঙ্গীকারের বন্দোবস্তও রয়েছে। রয়েছে শ্রমজীবী হাসপাতালের বইয়ের স্টলও। বই ঘেঁটে দেখার পাশাপাশি ওই সব স্টলে নানা প্রশ্ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান মঞ্চ তৈরি হয়েছে ভগিনী নিবেদিতাকে স্মরণ করে। জন্ম সার্ধশতবর্ষে এ ভাবেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হচ্ছে। ‘বর্তমানকালে ভগিনী নিবেদিতার প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক আলোচনাচক্র হয় উদ্বোধনী দিনে। সোমবার ‘চিকিৎসক এবং রোগীর সম্পর্ক’ নিয়ে আলোচনার জমাটি আসর বসেছিল। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

চলতি বছর শ্রীরামপুর কলেজের দ্বিশতবর্ষ। এই প্রেক্ষিতে মেলার মাঠে প্রবেশের মুখে তোরণ তৈরি হয়েছে। আজ, বুধবার কলেজের দ্বিশতবর্ষ নিয়ে কথোপকথন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কলেজের দীর্ঘ ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সন্ধান মিলবে সেখানে। এ সবের পাশাপাশি আবৃত্তি, নাচ, গান, কবিতাপাঠ, শ্রুতিনাটক, অনুগল্প পাঠ, গীতি আলেখ্য, ছড়াপাঠ, স্বরচিত কবিতা পাঠ- সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। থাকছে বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান, ক্যুইজ।

বইমেলা কমিটির সভাপতি তথা শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অমিয় মুখোপাধ্যায় জানান, শহরে যাঁরা সংস্কৃতি চর্চা করেন বা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের পরিমর্শ নিয়েই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘এই শহরে পঞ্চা‌ন‌‌ন কর্মকারের হাত ধরে হরফশিল্প বিস্তার লাভ করেছিল। অর্থাৎ বইয়ের সঙ্গে শ্রীরামপুরের যোগাযোগ নিবিড়। আয়োজক পুরসভা হলেও এ আসলে মানুষের মেলা।’’

পুরসভার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে শীতের সন্ধ্যায় মিলবে রসনা তৃপ্তির ঠিকানা। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পিঠেপুলি। এ ছাড়াও রয়েছে হস্তশিল্পের নানা উপকরণ। সব মিলিয়ে মেলায় মজেছে গঙ্গাপাড়ের প্রাচীন শহর শ্রীরামপুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE