জাঙ্গিপাড়ায় পুরোহিতদের মিছিল। ছবি: দীপঙ্কর দে
বেগ দিচ্ছে করোনা। তার দোসর হয়ে ডেঙ্গি যাতে কোনও ভাবে সাঁড়াশি আক্রমণ চালানতে না পারে, সে জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন পুরসভাকে বিশেষ অভিযানে নামার নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। আজ, রবিবার থেকে হুগলি জেলা-সহ গোটা রাজ্যে চালু হচ্ছে ‘ডেঙ্গি বিজয়’ নামে ওই কর্মসূচি।গত কয়েক বছরে শ্রীরামপুর, রিষড়া, ডানকুনি-সহ হুগলির বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। বছর কয়েক আগে শ্রীরামপুরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি আর যাতে না হয়, সে জন্য ইতিমধ্যে জেলার সমস্ত পুর-কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেই মোতাবেক কাজও হচ্ছে অনেক জায়গায়। তবে কাজে আরও গতি আনতে চাইছে রাজ্য। হুগলির বিভিন্ন পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ‘ডেঙ্গি বিজয়’ অভিযানে সাফাইকর্মীদের নিয়ে ঢুঁ মারবেন পুরকর্তারা। সাফাইয়ে জোর দেওয়া হবে। কোথাও জমা জল থাকলে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হবে। মশার লার্ভা থাকলে তেল ছড়ানো হবে। প্রয়োজনে নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। যাতে তারা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলতে পারে। বাড়িতে বা আশপাশে জল যাতে না জমে, সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা হবে।জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে হুগলিতে এখনও পর্যন্ত ১৩৩ জনের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, ডেঙ্গি রোধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে।
রিষড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্র জানান, গত দু’মাস ধরে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ডেঙ্গি রোধে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করছেন। কারও জ্বর হলে পুরসভার তরফে নিখরচায় ডেঙ্গি নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে, কোনও ঝুঁকি নেব না। ডেঙ্গি বিজয় কর্মসূচিতে আরও উঠেপড়ে লাগব।’’ একই বক্তব্য বৈদ্যবাটীর পুর-প্রশাসক অরিন্দম গুঁইনেরও।জেলা সদর চুঁচুড়া-সহ বিভিন্ন শহরেই জঞ্জাল সাফাই নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষ অভিযানে কতটা কাজ হয় এবং মানুষের ক্ষোভ কতটা প্রশমিত হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy