Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Containment Zone

মুদিখানার জিনিস পৌঁছনোর পরিষেবা

পুরসভার টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে অর্ডার দিলেই প্রয়োজনীয় জিনিস দোরগড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন ওই কর্মীরা।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৩:২৪
Share: Save:

হাওড়া পুর এলাকার সংক্রমিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়িতে মুদিখানার জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন এ বার পুরকর্মীরাই। এ জন্য ১০০ জন কর্মীকে কয়েকটি দলে ভাগ করে কন্টেনমেন্ট জো়নগুলিতে পাঠানো হচ্ছে।

পুরসভার টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে অর্ডার দিলেই প্রয়োজনীয় জিনিস দোরগড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন ওই কর্মীরা। লকডাউনের প্রথম পর্বে হোম ডেলিভারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অনলাইন বেসরকারি সংস্থাকে।

গত বৃহস্পতিবারে বিকেল ৫টা থেকে হাওড়া পুরসভার ১৭টি এলাকায় কড়া লকডাউন ফের চালু হয়েছে। এলাকার প্রতিটি রাস্তা বাঁশ বা রেলগার্ড দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ফলে ওই সব এলাকার বাসিন্দারা কার্যত গৃহবন্দি। তাই বাসিন্দাদের কাছে চাল, ডাল, তেল, নুনের মতো জরুরি জিনিস পৌঁছে দিতে এই ব্যবস্থা শুরু করল পুরসভা। সূত্রের খবর, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংক্রমিত এলাকার বাসিন্দাদের থেকে বরাত নেওয়া হচ্ছে। ৬২৯২২৩২৮৫৫ এবং ৬২৯২২৩২৮৬৭ এই দু’টি টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে চাল, ডাল, তেল, দুধ, বিস্কুট প্রভৃতির বরাত দিচ্ছেন বাসিন্দারা। ঠিকানা জেনে এলাকা সংলগ্ন মুদির দোকান থেকেই জিনিস সংগ্রহ করে দুপুর ১টার পরে সেই সব বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন পুরকর্মীরা। পরিবর্তে দাম সংগ্রহ করে নিচ্ছেন।

হাওড়া পুরসভার এক কর্তা শনিবার বলেন, ‘‘একশো জন মতো কর্মী এ কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিটি সংক্রমিত এলাকায় আট জন করে কর্মী কাজ করছেন। পরে আরও মানুষের কাছে জিনিস পৌঁছে দিতে প্রয়োজনে বেসরকারি খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার সাহায্যও নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম কত টাকার অর্ডার দিতে হবে, তখন তা বেঁধে দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Containment Zone Howrah Grocery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE