আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পড়ে কোভিড বর্জ্য। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
এতদিন কোভিড বর্জ্য যথাযথ সংগ্রহ এবং তা নিষ্কাশন নিয়ে উদ্বেগ ছিল প্রশাসনে। প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে ভুরিভুরি। জমে থাকা আবর্জনা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এই সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ ও রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা শহরাঞ্চলের কোভিড বর্জ্য সংগ্রহের বরাত দিয়েছে একটি সংস্থাকে। এই সিদ্ধান্তের কথা জেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। যদিও গ্রামাঞ্চলের কোভিড বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশ ণের জন্য এই ধরনের কোনও সংগঠিত পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তার কোনও উত্তর প্রশাসনের কাছে নেই। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গ্রামাঞ্চলের কোভিড বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ে রাজ্য স্তর থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। সাধারণত গ্রামাঞ্চলের করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের বর্জ্য তাঁদের বাড়ি সংলগ্ন জমিতে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। পরে সেই বর্জ্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৪ অগস্ট জেলার স্বাস্থ্য দফতরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থার ডিরেক্টর শান্তনু মুখোপাধ্যায়। সেখানে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলের প্রতিটি কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তির বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি হাসপাতালের নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করবে পুরসভাগুলি। বলা হয়েছে, সপ্তাহে ২ দিন (বুধ ও শনিবার) হাসপাতাল থেকে সেই বর্জ্য তুলে নিয়ে যাবে হাওড়ার বেলগাছিয়ার একটি সংস্থা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থাকে।
কোন পুরসভা এলাকার কোভিড বর্জ্য কোন হাসপাতালে রাখা হবে, তার তালিকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, আরামবাগ পুরসভা এলাকার কোভিড বর্জ্য জমা করা হবে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতলে। তেমনই, বৈদ্যবাটি, রিষড়া এবং শ্রীরামপুর পুরসভার কোভিড-আবর্জনা শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকার ক্ষেত্রে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে কোভিড বর্জ্য জমা করা হবে। আবার ভদ্রেশ্বর, চাঁপদানি এবং তারকেশ্বর পুরসভা এলাকার বর্জ্য রাখা হবে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের নির্দিষ্ট জায়গায়। কোন্নগর, ডানকুনি এবং উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা এলাকার কোভিড বর্জ্য ফেলা হবে উত্তরপাড়া হাসপাতালের একটি জায়গায়। সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি কোভিড বর্জ্য সংগ্রহ করে ওই হাসপাতালগুলির চিহ্নিত জায়গায় জমা করার কাজ শুরু করছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy