হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম ছাত্রী । নিজস্ব চিত্র
রাজ্য জুড়ে চলছে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। রাস্তার মোড়ে লাগানো সতর্ক বার্তা। চলছে পুলিশি নজরদারি— হেলমেট আছে কিনা, কেউ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছেন কিনা! আর তারই মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটাল পুলিশের গাড়়ি। অভিযোগ উঠল চালক ছিলেন মদ্যপ।
রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার রাস্তায়। পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছেন এক অটো চালক ও দুই ছাত্রী। পুলিশের গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন গঙ্গারামপুর থেকে উলিবেড়িয়া ওটি রোড ধরে উলুবেড়িয়া মহিলা থানার দিকে যাচ্ছিল পুলিশের একটি গাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছিল গাড়িটি। এই সময় উলুবে়ড়িয়া সংশোধনাগারের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা একটি অটোকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে অটোর সামনের অংশ।
স্থানীয় বাসিন্দারাই অটো চালক ও দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। অটো চালককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও সাগরিকা খামরুই ও মধুমিতা বেরা নামে দুই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, একজনের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙেছে। অন্যজনের মাথায় আঘাত রয়েছে। দু’জনেই করাতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে শহরের একটি সাইবার কাফেতে এসেছিলেন।
পুলিশের গাড়ির চালককে মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই চালক। গতির বিধিও মানেননি তিনি।
যদিও এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চালক মদ্যপ ছিলেন না। তবে কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy