প্রতীকী ছবি।
ক্লাস চলাকালীন ছাদের চাঙড় ভেঙে জখম হয়েছিল সাত ছাত্রী। শুক্রবারের সেই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে জগৎবল্লভপুর থানার মাজু আরএন বসু গার্লস হাইস্কুলে। শনিবার নবম শ্রেণির মাত্র ১৪ জন ছাত্রী উপস্থিত হয়েছিলেন স্কুলে। তাদের অন্য একটি ঘরে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। তবে সকলেই জানিয়েছে, তারা স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে। জখম ছাত্রীরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
কিন্তু কী ভাবে এই দুর্ঘটনা তা নিয়ে এখনও ধন্দে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিনই বিডিও অফিস থেকে সর্বশিক্ষা দফতরের ইঞ্জিনিয়ার এসে খসে পড়া প্লাস্টারের অংশ সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী চন্দ্র বলেন, ‘‘বিডিও-র কাছে অনুরোধ করেছি ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে পুরো ভবন ফের পরীক্ষা করে দেখতে। আরও কোনও অংশ বিপজ্জনক কিনা সেটা জানা খুব জরুরি।’’
যদিও বিডিও শুক্লাদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলবাড়িটি আমরা তৈরি করিনি। গ্রামবাসীদের চাঁদা এবং সর্বশিক্ষা প্রকল্পের টাকায় তা তৈরি হয়েছে। আমি স্কুল ও মাজু পঞ্চায়েতের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছি। তা পেলে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেব। তারাই যা করার করবে।’’
স্কুলটি প্রায় ৫০ বছরের পুরনো হলেও নতুন ভবনটি তৈরি হয়েছে সম্প্রতি। ওই দিন বেলা দেড়টা নাগাদ নতুন ভবনের তিনতলায় ফিজিক্সের ক্লাস নিচ্ছিলেন সুপর্ণা ঘোষ মাইতি। সে দিন ক্লাসে উপস্থিত এক ছাত্রী পলি ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আচমকা ঝুরঝুর করে বালি পড়তে থাকে। আমরা কিছু বলার আগেই প্লাস্টারের অংশ মাথায় পড়ে। চার জন সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়ে।’’ সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘আমি ব্ল্যাকবোর্ড-এ ব্যস্ত ছিলাম। কয়েকজন ছাত্রীর চিৎকার শুনে পিছন ফিরে দেখি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।’’
নবম শ্রেণি ‘ক’ বিভাগের পড়ুয়া ১৪৪ জন। শিক্ষিকারা জানিয়েছেন প্রতিদিন গ়ড়ে ৬০ জন অন্তত উপস্থিত থাকে। এ দিন উপস্থিত ছিল মাত্র ১৪ জন। ফলে আতঙ্ক যে রয়েছে তা বোঝাই যায়। জখম ছাত্রীদের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেওয়ায় তাঁরা মেয়েদের স্কুলে যেতে দেননি। সম্পূর্ণ চিকিৎসার পরই তাঁরা স্কুলে যাবে।
পরিচালন সমিতির সভাপতি তুষার সরকারের কথায়, ‘‘স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য বিশেষ কমিটি গড়েছিলাম। নিয়ম মেনেই ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল। কাজটি হয়েছিল সর্বশিক্ষা প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে। কেন প্লাস্টার খসে পড়ল বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy