Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইলিশ রক্ষায় নজরদারি চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত 

জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ইলিশ মাছ বিক্রির ক্ষেত্র হিসাবে মাছের আড়ত, বাজার এবং নদীঘাট মিলিয়ে প্রায় ৪৫টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সব জায়গায় নিষিদ্ধ সময়ে মাছ বিক্রি তো হয়ই, পাশাপাশি ছোট ইলিশ মাছও সরবরাহ করার অভিযোগ আছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্লক মৎস্য সম্প্রসারণ দফতরের আধিকারিকরা।  

নজরে: মাছের বাজারে অভিযান জেলা মৎস্য দফতরের। নিজস্ব চিত্র

নজরে: মাছের বাজারে অভিযান জেলা মৎস্য দফতরের। নিজস্ব চিত্র

পীযূষ নন্দী
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৭
Share: Save:

ইলিশ মাছ রক্ষা করতে প্রজননের সময় ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। তারপরেও বিভিন্ন বাজারে ইলিশ মাছের আমদানি নিয়ে অভিযোগ উঠছেই। ফলে হুগলি জেলা মৎস্য দফতর গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলার মাছের বাজার, আড়ত এবং নদীঘাটগুলিতে নজরদারি অভিযান শুরু করছে। এই অভিযান চলবে আগামী ২৪ অক্টোবর অবধি।

জেলা মৎস্য অধিকর্তা চিন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “ইলিশ মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতেই নজরদারি করা হচ্ছে। আগামী ২৪ অক্টোবর অবধি দফায় দফায় এই অভিযান চলবে। পাশাপাশি ছোট ইলিশ ধরা নিয়েও সতর্ক করা হচ্ছে।”

জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ইলিশ মাছ বিক্রির ক্ষেত্র হিসাবে মাছের আড়ত, বাজার এবং নদীঘাট মিলিয়ে প্রায় ৪৫টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সব জায়গায় নিষিদ্ধ সময়ে মাছ বিক্রি তো হয়ই, পাশাপাশি ছোট ইলিশ মাছও সরবরাহ করার অভিযোগ আছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্লক মৎস্য সম্প্রসারণ দফতরের আধিকারিকরা।

ইতিমধ্যেই ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবরের মধ্যে একদফা অভিযান হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এর মধ্যে রয়েছে চুঁচুড়া খাড়ুয়া বাজার, চুঁচুড়া ঘাট, চন্দননগর আড়ত, চন্দননগর ঘাট, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, চক্রবাজার আড়ত, ময়ূরপঙ্খী ঘাট, হুগলি ঘাট, ব্যান্ডেল বাজার, আরামবাগ আড়ত, গৌরহাটি মাছ বাজার, করুনা মার্কেট, শ্রীরামপুর আড়ত, রায় ঘাট, শ্রীরামপুর বাজার, রিষড়া বাজার, উত্তরপাড়া বাজার, কৃষ্ণপুর বাজার, মল্লিক কাশেম হাট, ব্যান্ডেল বাজার, এবং তোলাফটক বাজার।

অভিযান চালিয়ে ছোট ইলিশ সহ প্রচুর ইলিশ বিক্রির সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন ব্লক এবং জেলা আধিকারিকরা। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “প্রাথমিক পর্বে সতর্ক করা হল। অবস্থার পরিবর্তন না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আইন অমান্যকারীদের শাস্তি এবং জরিমানা দুই হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

অভিযানের পাশাপাশি লিফলেট বিলি, পোস্টার আটকেও সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে মৎস্য দফতর। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরামবাগ আড়তের মাছ ব্যবাসায়ীদের অভিযোগ, এই সময়টাই তো ইলিশ ধরার মোক্ষম সময়। মানুষ বর্ষা থেকে পুজো পর্যন্ত ইলিশ খেতেও পছন্দ করেন। ইলিশ ধরা নিয়ে কড়াকড়ি হলে সারা বছর ইলিশ পাবেন না মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hilsa Arambag
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE