Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভর্তিতে নজির তারাসুন্দরীর

মূলত বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সরকারি স্কুলগুলির এঁটে উঠতে না-পারা। এখানেই টেক্কা দিয়েছে তারাসুন্দরী। পাঁচটি শ্রেণি। ৩০টি বিভাগ। এক হাজার ছাত্রী। পঁয়ত্রিশ জন শিক্ষিকা। প্রতি শনিবার ক্লাসের পরীক্ষা। নিয়মিত অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক।

উদ্যোগ: স্কুলের প্রার্থনায় সামিল খুদেরা। নিজস্ব চিত্র

উদ্যোগ: স্কুলের প্রার্থনায় সামিল খুদেরা। নিজস্ব চিত্র

নুরুল আবসার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:০০
Share: Save:

নিয়ম মেনেই কেল্লা ফতে!

পড়ুয়ার অভাবে হাওড়া জেলার বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক স্কুল ধুঁকছে। কিন্তু কদমতলার তারাসুন্দরী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির জন্য হত্যে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা!

সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি যে পড়ুয়ার অভাবে ভুগছে, তা গত ১২ মে শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান জেলা স্কুল পরিদর্শক। কারণ হিসাবে উঠে আসে মূলত বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সরকারি স্কুলগুলির এঁটে উঠতে না-পারা। এখানেই টেক্কা দিয়েছে তারাসুন্দরী।

পাঁচটি শ্রেণি। ৩০টি বিভাগ। এক হাজার ছাত্রী। পঁয়ত্রিশ জন শিক্ষিকা। প্রতি শনিবার ক্লাসের পরীক্ষা। নিয়মিত অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক। সপ্তাহে এক দিন করে ইংরেজি কথা বলার ক্লাস, ক্যারাটে প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার ক্লাস, আঁকার ক্লাস। এ সবের পাশাপাশি তারাসুন্দরী প্রাথমিক স্কুলে এ বারই চালু হয়েছে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া। চালু হয়েছে গ্রন্থাগার। অপেক্ষাকৃত দুর্বল মেধার ছাত্রীদের বসানো হয় সামনের বেঞ্চে। যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে পারেন।

এই সব ব্যবস্থা অভিনব, এমনটা নয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই বলছে, এ সব নিয়ম পালন করতে প্রতিটি স্কুলকে নিয়মিত নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ স্কুল তা মানে না।

প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মানায় স্কুলের উপর ভরসা করছেন অভিভাবকেরা। পঠনপাঠনে শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করা হয়। দেখা হয়, ৩৫ জন ছাত্রী পিছু এক জন করে শিক্ষিকা যেন থাকেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE