মৃত পানমণি। নিজস্ব চিত্র।
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বালিকার। গুরুতর জখম তার বোন। বুধবার সকালে সিঙ্গুরের নোয়াপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে দিল্লি রোডের উপর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পানমণি সোরেন (১২)। আদতে পোলবার বাসিন্দা হলেও পানমণি মামার বাড়ি সিঙ্গুরের দোগাছিয়ায় থাকত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ পানমণি ও তার মাসতুতো বোন সুলেখা মুর্মু দাদুর সঙ্গে দোকানে গিয়েছিল, স্কুলের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনতে। সে সব কিনে দিয়ে দাদু নিজের কাজে চলে যান। সাইকেল নিয়ে পানমণি ও বছর সাতেকের সুলেখা রাস্তা পার হওয়ার জন্য নোয়াপাড়া মোড়ে দাঁড়িয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাইকেল নিয়ে হেঁটেই রাস্তা পার করার চেষ্টা করছিল পানমণিরা। অভিযোগ, সে সময়ই শ্রীরামপুরমুখী একটি দ্রুত গতির মোটরবাইক তাদের সাইকেলে ধাক্কা মারে। দু’জনেই ছিটকে পড়ে রাস্তার উপর। পিছন থেকে একটি ট্রাক এসে তাদের পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানমণির। গুরুতর জখম সুলেখাকে স্থানীয়রাই উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পরই এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ৮টা নাগাদ শুরু হয় পথ অবরোধ। পুলিশ পানমণির মৃতদেহ তুলতে গেলে বাধা দেন তাঁরা। অভিযোগ, দিল্লি রোডের উপর নোয়াপাড়া মোড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, সেখানে কোনও ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। কিন্তু সেগুলির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, নজরদারির ‘জুজু’ থাকলেও তা মানেন না গাড়ি চালকেরা। অনেকেই আবার বলছেন, ক্যামেরাগুলি নিশ্চয়ই বিকল হয়ে গিয়েছে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর এলাকায় পৌঁছন জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (সদর) অরিন্দম দাস। জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিসি ক্যামেরা, আলো ও ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়ে আশ্বাস দিলে বেলা ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। তারপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। মোটরবাইক ও ট্রাকের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরাগুলি চালু করে রাস্তা পারাপারের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা করা হবে। নোয়াপাড়া মোড়ের দিল্লি রোডের দুই পারের সংযোগকারী রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘স্পিড চেকার হাম্প’ বসানোর পরিকল্পনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy