বিপত্তি: চলছে কার্নিস থেকে কালিয়াদেবীকে (চিহ্নিত) নামানোর চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র
সবে মাত্র বাজার সেরে ঘরে ঢুকেছিলেন ছেলে। তখনই কয়েক জন প্রতিবেশী এসে সটান তাঁর ঘরে ঢুকে সোজা চলে যান বারান্দায়। হকচকিয়ে গিয়ে ছেলেও তাঁদের পিছনে গিয়ে দেখেন তেতলার বারান্দার জানলা টপকে দোতলার কার্নিসে দাঁড়িয়ে তাঁর মা।
তত ক্ষণে বৃদ্ধার হাত চেপে ধরে ফেলেছেন স্থানীয় এক যুবক। খবর পেয়ে দমকলকর্মীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। সোমবার সকালে বেলুড়ের ঘটনা। পুলিশ জানায়, ওই বৃদ্ধার নাম কালিয়া শর্মা।
বেলুড়ের তারাচাঁদ গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা, বছর সাতাত্তরের ওই বৃদ্ধা প্রতিদিনের মতো এ দিনও পাঁচতলা আবাসনের তেতলার ফ্ল্যাটের বারান্দায় বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন। বারান্দাটি পুরো লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। মাঝে একটি জানলা রয়েছে। মা রোদে বসে রয়েছেন দেখে বাজারে গিয়েছিলেন রেলকর্মী ছেলে মুকেশ শর্মা। অন্য ঘরে সংসারের কাজ করছিলেন তাঁর স্ত্রী। মুকেশ বলেন, ‘‘সকাল ১০টা নাগাদ সবে মাত্র বাড়িতে ফিরেছি। তখনই কয়েক জন স্থানীয় যুবক এসে সোজা ঘরে ঢুকে পড়েন। আমায় কিছু বলেননি। ওঁদের সঙ্গে বারান্দায় গিয়ে দেখি ওই অবস্থা।’’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বৃদ্ধার হাত চেপে ধরে রাখা যুবক নীরজ পাণ্ডে বলেন, ‘‘দোকানে কাজ করছিলাম। আচমকা দেখি ওই বৃদ্ধা বিপজ্জনক ভাবে কার্নিসে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সোজা ওঁদের ফ্ল্যাটে ঢুকে বারান্দায় গিয়ে হাত দু’টি চেপে ধরি।’’
খবর পেয়ে দমকলকর্মীরা এসে মই লাগিয়ে বৃদ্ধার কাছে পৌঁছন। তাঁর কোমড়ে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরে তাঁকে পাঁজাকোলা করে ওই জানলা দিয়েই বারান্দার ভিতরে ঢোকানো হয়। প্রাথমিক ভাবে সকলের অনুমান, চেয়ারে উঠে জানলা গলে বাইরে চলে গিয়েছিলেন কালিয়াদেবী। তাঁর অল্প মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। পরে তিনি বলেন, ‘‘রোদে দাঁড়িয়েছিলাম। তার পরে কী হল জানি না। জানলা দিয়ে বাইরে চলে গেলাম। আর কখনও যাব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy