দু’বছর পার। এখনও গাছ লাগানো হয়নি রাস্তার দু’পাশে। — নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য প্রায় বছর দু’য়েক আগে গাছ কাটা হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে গাছের চারা লাগানো হয়নি। বন দফতরের কর্তারা বলছেন, তারা নাকি বিষয়টিই জানেন না!
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে পূর্ত সড়ক দফতর হাওড়া-আমতা রোডের রানিহাটি থেকে আমতা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তাটি চওড়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তার মাপজোক করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রস্তাবিত সম্প্রসারিত রাস্তার উপরে প্রায় ৯০০টি গাছ রয়েছে। গাছ না কাটলে রাস্তা সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। তাই পূর্ত সড়ক দফতর থেকে জেলা প্রশাসন এবং বন দফতরের কাছে গাছ কাটার অনুমতি চায়। শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মেলে। শর্ত ছিল যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রসারিত রাস্তার পাশে নতুন গাছের চারা লাগানো হবে। ২০১৪ সাল থেকে রাস্তার গাছ কাটা শুরু হয়। গাছ কাটার পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গিয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু এখনও একটি গাছের চারাও লাগানো হয়নি ওই রাস্তার পাশে।
কেন এমন হল? গাফিলতি কার?
বন দফতরের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পূর্ত সড়ক দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’ কিন্তু বন দফতরের অন্য এক কর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ভাবে গাছ কাটার আগে রাস্তা তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে নতুন গাছ লাগানো নিয়ে পুরো পরিকল্পনা প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হয়। সেই পরিকল্পনা গৃহীত হলে তবেই গাছ কাটার অনুমতি মেলে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা নতুন গাছ লাগাতে গড়িমসি করে। এ ক্ষেত্রেও সম্ভবত তাই হয়েছে। যদিও পূর্ত দফতরের এক কর্তার দাবি, গত বছর বন্যার কারণেই এই দেরি হয়েছে। শীঘ্রই গাছ লাগানোর কাজ শুরু হবে।
হাওড়ার পূর্ত সড়ক দফতরের কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিল সিংহের আশ্বাস, ‘‘রানিহাটি থেকে আমতা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষ। এখন রাস্তার পাশে মাটি ফেলার কাজ চলছে। সেটা হলেই ওই রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy