প্রশিক্ষণ: চলছে নাটকের মহড়া। নিজস্ব চিত্র
পাঠ্যপুস্তকের গল্পের চরিত্রগুলো ক্লাসরুমেই হাজির!
বেশ মজা পাচ্ছিল খুদে পড়ুয়ারা। মন দিয়ে দেখছিল। কখনও ভাবেনি এমনও হয়!
পড়ুয়াদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং উচ্চারণের জড়তা কাটাতে উলুবেড়িয়ার মহেশপুর ফেরিঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাটকের মাধ্যমে পাঠদানের কর্মশালা শুরু হল বৃহস্পতিবার থেকে। প্রথম দু’দিনের জন্য কলকাতার একটি গ্রুপ থিয়েটারের দল ওই পাঠ দিচ্ছে। এরপরে তাঁরাই ক্লাসে সেই ভাবে শেখাবেন বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।
কেন এই উদ্যোগ?
ওই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৪৫। অনেকেরই উচ্চারণে জড়তা রয়েছে। অনেকে আবার পড়াশোনায় ঠিকমতো মন বসাতে পারে না। তাই এখানকার শিক্ষকেরা ঠিক করেন, এমন কিছু করতে হবে, যাতে সহজে শিশুরা পাঠ্যপুস্তকের গল্প মনে রাখতে পারে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘শিশুদের নানা প্রতিভা আছে। আমরা ওদের খেলার ছলে পড়াশোনা করাই। তা যাতে ওদের আরও মনোগ্রাহী হয়, সে জন্যই এই আয়োজন।’’
নতুন ভাবে ক্লাস করতে পেরে এ দিন চতুর্শ শ্রেণির দীপালি মণ্ডল এবং মারিয়া খাতুনের আনন্দ ধরে না। ওরা বলে, ‘‘পাঠ্যবইয়ের গল্পগুলো পড়তে কঠিন লাগত । মনে থাকত না। এখন গল্পগুলো নাটকের মাধ্যমে দেখতে-পড়তে ভাল লাগছে। সহজে মনে থাকছে।’’
স্কুলের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন উলুবেড়িয়া উত্তর চক্রের শিক্ষা পরিদর্শক। তাঁর আশা, এতে ছোটদের স্কুলের প্রতি টান আসবে। স্কুলছুট কমবে। নাট্যকার ও লেখক অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম নাটক। নাট্যচর্চা শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রবল উদ্দীপিত ও আনন্দিত করে। তাদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলে। কল্পনাশক্তি ও ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটায়। ওদের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে তোলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy