নিহত: হাসপাতালে যাওয়ার পথে। নিজস্ব চিত্র
প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল বর্তমান প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়ার বাহির গঙ্গারামপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ ইমতিয়াজ (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাইকে খুনে অভিযুক্ত ছিলেন ইমতিয়াজ। সম্প্রতি তিনি জামিন পেয়ে বাহির গঙ্গারামপুরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকছিলেন। তাঁর স্ত্রী জাহানারা শেখের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ তাঁরা বাড়ির বাইরে পা রাখতেই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে। পাঁজরে গুলি লাগে ইমতিয়াজের। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
জাহানারা জয়পুর ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনানপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, ওই পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান সাবিনা বেগমের স্বামী বাপি মল্লিকের নেতৃত্বেই এ দিন চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বাপিই গুলি করে ইমতিয়াজকে। তারপর শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়।
বাপি অবশ্য এ দিন ফোনে বলেছেন, ‘‘আমি তো বাড়িতেই রয়েছি। ইমতিয়াজ গ্রামে ফিরেছে কিনা তাও বলতে পারব না। জানি না এ সব কে বা কারা করল!’’
ইমতিয়াজকে হাসপাতালে আনার পরই পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। এলাকায় র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা স্তরের কোনও নেতা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ অগস্ট ঘোড়াবেড়িয়ায় বাড়ির সামনেই কুপিয়ে এবং গুলি করে খুন করা হয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সাজাহান ও তাঁর ভাই শেখ লালচাঁদকে। সেই ঘটনায় ইমতিয়াজ, তাঁর দুই ছেলে-সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দিন ১৫ আগে জামিন পান ইমতিয়াজ। কিন্তু ঘোড়াবেড়িয়া গ্রামের বাড়িতে আর ফেরেননি তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতেই থাকছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy