Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

দিদিকে বলতে মাধ্যম ফুটবল

খানাকুলের ৩২টি দল নিয়ে  লিগটি হয়। দলগুলিকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করে ২৪ টি অঞ্চলে ৬৪টি ম্যাচ হয়।

চমক: ‘দিদিকে বলো’-র এই দলই নামে মাঠে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

চমক: ‘দিদিকে বলো’-র এই দলই নামে মাঠে। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

পীযূষ নন্দী
খানাকুল শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩০
Share: Save:

গ্রামে ঘুরে, বিভিন্ন বাড়িতে রাত কাটিয়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বিশেষ সাড়া মিলছিল না। ‘মন খুলে’ নাকি কথা বলছিলেন না মানুষ। দিদিকে ফোন করে জবাব না মেলায় কর্মসূচির গুরুত্ব নিয়েও এলাকায় চর্চা বাড়ছিল। তার উপর নদী, খালবিলে ঘেরা খানাকুলের দুটি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছনোও যাচ্ছিল না। সব মিলিয়ে ঝিমিয়ে যাওয়া কর্মসূচিটিকে চাঙ্গা করতে ‘দিদিকে বলো’ নামে ফুটবল দল তৈরি করে প্রচারে নামলেন খানাকুল বিধানসভার তৃণমূলের আহ্বায়ক তথা হুগলি জেলা পরিষদ সদস্য মুন্সি নজিবুল করিম।

দল তৈরির পর প্রথম খেলাটির জন্য মহকুমার জনপ্রিয় ‘খানাকুল প্রফেশনাল লিগ’ তথা কেপিএল ফুটবল প্রতিযোগিতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সোনাটিকরি ফুটবল মাঠে ‘দিদিকে বলো’ দলের প্রথম খেলাটি হল সুলুট তরুণ সঙ্ঘ দলের সঙ্গে। দলের কর্ণধার নজিবুল করিম বলেন, “খানাকুলে দিদিকে বলো কর্মসূচির প্রচারে কিছু খামতি থেকে যাচ্ছিল। সেটা কাটাতেই প্রচারের নতুন এই ধরন এনেছি। কেপিএল লিগে খানাকুলের দুটি ব্লকের ২৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় ২ মাস ধরে খেলা চলবে। প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত থাকতে বাছাই করা খেলোয়াড়দের নিয়েছি। এই খেলাকে ঘিরে প্রতিটি অঞ্চলে গণসমাবেশ ছুঁতে পারব আমরা।” দিদিকে বলো কর্মসূচির গেঞ্জিই ওই দলের দলের জার্সি। দলের স্লোগান, “চল খেলি, দিদিকে বলি।।”

খানাকুলের ৩২টি দল নিয়ে লিগটি হয়। দলগুলিকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করে ২৪ টি অঞ্চলে ৬৪টি ম্যাচ হয়। বিজয়ী দলের পুরস্কার মূল্য নগদ ৫০ হাজার টাকা। বিজিত দলের প্রাপ্তি ৩০ হাজার ৫০০ টাকা। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানাধিকারী দল পায় যথাক্রমে ১০ হাজার এবং ৬ হাজার টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE